সজিবুলকে পিটিয়ে হত্যা, আদালতে ৯ পুলিশসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২২, ০৫:২৯ পিএম

নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার বল্লী গ্রামের সজিবুল তালুকদারকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে খালিয়াজুরী থানার তিন এস আই, এক এ এস আই, পাঁচ কনষ্টেবলসহ ১৬ জনকে আসামী করে খালিয়াজুরী বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে (৩) মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই বল্লী গ্রামের মৃত খোরশেদ তালুকদারের পুত্র নিহতের ছোট ভাই সাজিবুল তালুকদার (৪১) বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তনিমা রহমান অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ২১ আগষ্ট প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।

অভিযোগে বলা হয়, বল্লী গ্রামের মৃত খোরশেদ তালুকদারের পুত্র সজিবুল তালুকদার তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ২৩ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মালেক জিরাতির বসতবাড়ীর পিছনে বসে গল্প করছিল। এ সময় ফতুয়া গ্রামের মৃত ধুধু মিয়ার পুত্র আব্দুল কদ্দুছের (৪৭) প্ররোচনায় খালিয়াজুরী থানার এস আই (নিঃ) মোঃ আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সজিবুল তালুকদার সহ তার সাত সঙ্গীকে আটক করে। পরে আটককৃতদেরকে হয়রানী ও ক্ষতিগ্রস্থ করার অসৎ উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ আনে।

পরে পুলিশ আটককৃতদেরকে নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে এস আই আব্দুল জলিল আটক সজিবুল তালুকদারের কাছে এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করে। সজিবুল টাকা দিতে অস্বীকার করায় পুলিশ লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটাতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পুলিশ লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃত সজিবুলকে বন্যার পানিতে ফেলে দেয়। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেক খোজাখুজির পর সজিবুলের লাশ নতুন পাড়া মসজিদের দক্ষিনে উজারী বনের পানি থেকে উদ্ধার করে। ভোর রাতে পুলিশ বাদীর বাড়ীতে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। সুরতহাল রিপোর্টে মৃতের মাথায় গুরতর জখমসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিটের অসংখ্য দাগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আদালত উপরুক্ত আদেশ প্রদান করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: