ধামইরহাটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

রেজুয়ান আলম, ধামইরহাট (নওগাঁ) থেকে: নওগাঁর ধামইরহাটে রামরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. আরশেদা খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) সকাল ১০ টার সময় ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কাহারুল ইসলাম প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুনের অপসারণ ও বিভাগীয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের অনুলিপি নওগাঁ জেলা প্রশাসক, নওগাঁ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, নওগাঁ উপ-পরিচালক এনএসআই, নওগাঁ উপ-পরিচালক সমন্বিত জেলা কার্যালয় দুদক, ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ক্লাস্টার) ও ধামইরহাট মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি, সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের পানির ট্যাংকসহ পাম্প (মোটর) চুরি করে বিক্রি করাসহ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা বন্টনে অনিয়মের মত গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের সংস্কার ও সিলিপের টাকা ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যকে নিয়ে কাজ করার জন্য ওই শিক্ষককে বলা হলেও তিঁনি ম্যানেজিং কমিটির কথা না শুনে নিজের পছন্দের লোকজনকে দিয়ে মিটিং ও রেজুলেশন ছাড়াই সেই টাকা ইচ্ছেমতো খরচ করেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের কোন পরামর্শ গ্রহণ করেন না। বরং বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামী ৯ অক্টোবর ২২ পর্যন্ত থাকলেও ওই প্রধান শিক্ষক নিজের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ঢাকার জন্য গত ২২ জুন বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে কমিটির মেয়াদ শেষ বলে ঘোষণা করেন।
অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে স্লিপের ২২ হাজার টাকা আত্মসাৎ, বিজয় ফুল উৎসব, আন্তঃক্রিড়া প্রতিযোগিতা এমনকি জাতীয় শোক দিবসের নামে অতিরিক্ত অর্থ খরচ দেখিয়ে মোটা অংকের ভাউচার তৈরি করাসহ ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়নের টাকা দিয়ে গ্যাসের চুলা কিনে নিজের কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়াও স্লিপের টাকা দিয়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পোশাক বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও প্রধান শিক্ষক আরশিদা খাতুন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।
আরও জানা গেছে, বিদ্যালয়ে পাঁচ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন পিটিআই ও অন্যজন মাতৃকালীন ছুটিতে থাকলেও সরকারি বিভিন্ন কাজের অজুহাত দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন নিয়মিত স্কুলে না যাওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে স্থানীয় জনসাধারণ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রধান শিক্ষক আরশেদা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের সকল অর্থ ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা ও সভাপতির সই নিয়ে আয় ও ব্যয়ের সকল তথ্য ভাউচারের মাধ্যমে নথিভুক্ত করে কাজ করা হয়। এছাড়াও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর পরামর্শে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজকর্ম চলমান রয়েছে।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের অনুলিপি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: