গ্রামে গ্রামে ঐতিহ্যের ‘বাউল আসর’

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২২, ১১:৪২ এএম

শফিকুল ইসলাম, ঘাটাইল থেকে: আদি যুগের ধারাবাহিকতায় পরিবেশিত ঐতিহ্যের বাউল গানের আসর। যা গ্রামে গ্রামে জলসা আকারে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হারানো এই ঐতিহ্যের বাউল গানের আসরে ভক্তদের হৃদয়ে ঠাই করে নিয়েছে লোকসংস্কৃতির এই মহতি মজমা।

ভক্তদের মনের খো্ড়াক মেটাতে মুর্শিদী সংস্কৃতিতে বাউল সাধুগণ তাদের পুর্ণমার্জনে সংগীত পরিবেশন করে থাকেন। যা ভক্তদের মনকে নতুনরূপে উজ্জীবিত করে তোলে।

অসাধারণ কণ্ঠ-ঐশ্বর্যে লোক সঙ্গীতের এই ধারাকে যিনি সার্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন, তিনি লোক সঙ্গীতশিল্পী আবদুল আলীম। লোকসঙ্গীতকে তিনি অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের উৎকর্ষতায় তার অবদান অবিস্মরণীয়।

শীতের আগমনীতে প্রায় রাতেই ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাৎসরিক ওরস মাহফিলে বাউলগানের আয়োজন করা হয়। আবহমান বাংলার প্রকৃতি, মাটি ও মানুষের জীবন-জিজ্ঞাসা একাত্ম হয়ে ফুটে ওঠে বাউলগানে, থাকে সাম্য ও মানবতার বাণী। এ কারণে প্রতিটি আসরেই নানা শ্রেণি–পেশার শত শত গানপ্রেমী মানুষের সমাগম ঘটে। এসব আসরে রাজনৈতিক দলের ভোট প্রার্থীরাও ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের জন্য উপস্থিত হন।

লক্ষিন্দর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি প্রায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন আসরে উপস্থিত হই। বাউলশিল্পীরা শেষ রাতের দিকে বিচ্ছেদগান গেয়ে থাকেন। গান আমার ভালো লাগে, তাই শুনি।’

শুক্রবার রাতে ঘাটাইলের লক্ষিন্দর ইউনিয়নের আকন্দের বাইদ এলাকায় শুকুমিয়ার বাড়িতে বাউল গানের আসর বসে। সাগরদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. এসকান্দর হক জানান, এই লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রতি বছর প্রায় ৪০টি বাড়িতে বাউল গানের আসর বসে। যা গ্রামীণ ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করে মানবমুক্তির বার্তা বয়ে আনে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান খান বলেন, রাতব্যাপী এ বাউল আসরে উপস্থিত ভক্তদের মাঝে শিরনী বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: