অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ৬ মাসেই পূর্বের অবস্থানে

প্রকাশিত: ০১ আগষ্ট ২০২২, ০৪:১৭ পিএম

বগুড়ার শেরপুরে ধুনট রোড থেকে কাজিপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের জন্য রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ৬ মাসের মধ্যে আবারও অবৈধ স্থাপনার মহাউৎসবে মেতে উঠেছে অবৈধ দখলদাররা। এবং বড় বড় যে সকল স্থাপনার কিছু অংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল সেগুলো ভাঙ্গার পরিবর্তে নতুন করে সংস্কার করা করে নিয়েছে।

জানা যায়, শেরপুর ধুনট রোড থেকে কাজিপুর পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। সেই লক্ষ্যে রাস্তার দু’পাশে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তাদের সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন কয়েক দফা সার্ভে করার পর লাল রং দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে রাখেন। সেই মোতাবেক কয়েক দিন আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন সড়ক বিভাগ। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় সময়মত স্থাপনা সরিয়ে না ফেললে ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ সালে তা উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলা হবে। বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ সকাল ৯টার থেকে স্কেভেটর দিয়ে ধুনটরোড হতে কাজিপুর পর্যন্ত দোকানসহ বাড়ি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেন সার্ভেয়ার দেলোয়ার হোসেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ৬ মাসের মধ্যে পূর্বের ন্যায় আবারও অবৈধ স্থাপনার মহাউৎসবে মেতে উঠেছে অবৈধ দখলদাররা

রবিবার ৩১ জুলাই সকাল ১১টায় সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবরও অবৈধ দখলদাররা রাস্তার দু’পাশে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জায়গায় যতটুকু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল সেগুলো দখল করে নিয়েছে। এবং বড় বড় যে সকল স্থাপনার কিছু অংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল সেগুলো ভাঙ্গার পরিবর্তে নতুন করে সংস্কার করা করে নিয়েছে। রনবীরবালা ঘাটপার এলাকায় আলম হাজীর ছেলে রাজিব ইটের দেয়াল গেঁথে নতুন করে ২০টি দোকানের পজিশন করতে দেখা গেছে। এছাড়াও ধুনটমোড় হতে শালফা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে পূর্বের অবস্থান দেখা গেছে।

এ বিষয়ে শ্রী নবচন্দ্র ও নিখিল চন্দ্র জানান, আমরা ছহির উদ্দিন ও হানিফ সরকারের নিকট হতে ৮ বছর আগে পজিশন ক্রয় করে নিয়েছি। সেই থেকে আমরা এখানে দোকান করছি। কিছুদিন পূর্বে ভেঙ্গে দিয়েছিল আমরা চলে গিয়েছিলাম। জায়গা ফাঁকা আছে তাই আবারও দোকানপাট করেছি। এভাবেই রাস্তার দুই পাশে নতুন করে ঘর নির্মান করে হোটেল, দোকান ভাড়া দিয়েছেন অনেকে।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমানুল্লাহ আমান জানান, নতুন করে আবারও রাস্তার দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করছে আমাদের নজরে এসেছে। অতিশিঘ্রই আমরা আবারও অভিযান পরিচালনা করব। আমাদের কাজ এখনও শেষ হয়নি চলমান রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: