ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিমকে দেখতে রুশ স্ত্রী ঢাকায়, স্বামীর মুক্তি দাবি

অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার সেলিম প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন তার রাশিয়ান স্ত্রী আনা প্রধান। বুধবার (৩ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে অনুমতি নিয়ে দেখা করেন তারা। এদিন অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে আসেন আনা প্রধানও। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে এজলাস কক্ষে রুশ স্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম প্রধান।
এদিন রেজাউল করিম নামে একজন ব্যাংকার এই মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেন। মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিকে সেলিম প্রধানের রুশ স্ত্রী আনা প্রধান বলেন, আমি তিন দিন আগে এসেছি, এখন দেশেই থাকব। আমাদের সন্তান আছে। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাই। আইনের মধ্যে থেকে ন্যায়বিচার চাই। এরপর আদালতের অনুমতি নিয়ে এজলাস কক্ষে রুশ স্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম প্রধান।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। গত বছর ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়। গত বছর ৩১ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
এর আগে সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালেল ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যায়। ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। পরদিন গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। এ মামলায়ও তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: