দুশ্চিন্তায় কৃষক, স্যালো মেশিনেই চলছে আমন চারা রোপণ

প্রকাশিত: ০৩ আগষ্ট ২০২২, ০৮:২৬ পিএম

বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। আকাশে মেঘ দেখা গেলেও বৃষ্টি নেই। মাঝে মাঝে একটু বৃষ্টি হলেও সে পানি কাজে আসছে না কৃষকের। ফলে বাধ্য হয়ে সেচ দিয়ে রোপা আমন চারা লাগাচ্ছে কৃষকরা। নবাবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে কৃষকদের সেচ দিয়ে আমন চাষাবাদ দৃশ্য দেখা গেছে। গত চার সপ্তাহ থেকে প্রচন্ড তাপদাহে বিপাকে কৃষক। কয়েক দিন হালকা বৃষ্টি হলেও তেমন পানি জমেনি ক্ষেতে।

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় আমন চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপায় না পেয়ে শ্যালো মেশিন, বৈদ্যুতিক মটর ব্যহার করে সেচ দিয়ে আমন রোপন করার চেষ্টা করছে কৃষক। কিন্তু প্রচন্ড তাপদাহের কারণে জমিতে আমন রোপনে কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বারুয়াখালী, শিকারীপাড়া, নয়নশ্রী, যন্ত্রাইল, শোল্লা ও কৈলাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ব্রি-৪৯, ব্রি-৭৭, ব্রি-৮৭ জাতের রোপা আমন ধান লাগিয়েছেন চাষিরা।

এ বছর ৫৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষকরা জমি তৈরি, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজ শুরু করেছেন পুরোদমে।

শিকারীপাড়া ইউনিয়নের পাঞ্জিপ্রহরী গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমি প্রতিবছর ১০ বিঘা জমিতে আমন রোপন করি। কিন্তু এবার বৃষ্টি নেই, প্রচন্ড গরম তাই বৈদ্যুতিক মটর দিয়ে সেচে আমন রোপন করছি, শ্রমিকের দাম বেশি ও বিদ্যুৎ বিল মিলিয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আমন রোপন করতে হচ্ছে। একদিকে পানি নেই অন্য দিকে শ্রমিকের দামও বেশি। আমাদের এবার আমন চাষে লোকসান গুনতে হবে।

বারুয়াখালী ইউনিয়নের বড় বাড়িল্যা গ্রামের কৃষক জিন্নত মিয়া বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমন ধানের চারা এখনো রোপন করতে পারিনি। জমিগুলো রোদে ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। আমি ১ বিঘা জমি শ্যালো মেশিন দিয়ে আমন রোপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বৃষ্টি না হলে এবার পরিবার নিয়ে অনাহারে থাকতে হবে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি না থাকায় শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মটরের পানির মাধ্যমে জমি তৈরির পর কৃষক রোপা আমন ধান রোপণ করছেন। অতিরিক্তভাবে পানি সেচ দেওয়ার কারনে খরচ বেশি লাগছে এতে লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান বলেন, কৃষকদের রোপা আমন ধান রোপণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় আমন চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষক। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন রোপণ হবে বলে জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: