অতিরিক্ত সময়ে স্বপ্ন ভাঙলো বাংলাদেশের
৯০ মিনিট দুর্দান্ত লড়াই করার পরেও অতিরিক্ত সময়ে স্বপ্ন ভাঙলো বাংলাদেশের। ফাইনালে ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে যুবারা। ফুলটাইম ভালো লড়াই করলেও অতিরিক্ত টাইমে খেই হারানো বাংলাদেশে হজম করে ৩টি গোল। তাতে ৫-২ ব্যবধানে হেরে রানার্স-আপ হয় বাংলাদেশ।
এরআগে ফাইনালে ৯০ মিনিটের খেলা বাংলাদেশ ও ভারত ২-২ গোলে সমতায় শেষ হয়। আজ শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়। প্রথমার্ধের শুরুতে গোল করে ভারতকে এগিয়ে নেন গুরকিরাত সিং। আর প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের রাজন হাওলাদার গোল করে সমতা ফেরান।
খেলা শুরুর ২০ সেকেন্ডের মাথায় হিমাংশু জাংগ্রা পেনাল্টি থেকে গোল করলে এগিয়ে যায় ভারত। এটা ছিল চলতি আসরে তার পঞ্চম গোল। ৫ গোল নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে আছেন। বাংলাদেশের মিরাজুল ইসলাম ৪ গোল নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। খেলার দশম মিনিটে বাংলাদেশ সমতা ফেরাতে পারতো। কিন্তু ডি বক্সের বাইরে থেকে রফিকুল ইসলামের নেওয়া শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা এগোয়।
খেলার প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে (৪৫ মিনিটে) রফিকুল ইসলাম গোল করলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। এ সময় রফিকুল ইসলাম ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন। ডি বক্সের ভেতরে ঢুকে শট নেন। বল ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে চলে আসে রাজনের কাছে। রাজন জটলার মধ্য থেকে ডান পায়ে শট নিয়ে বল জালে জড়ায়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ৪৭ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পেলে ইমরান খানের নেওয়া শট ডি বক্সের মধ্যে ভারতের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ভিবিন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। বল উপরে উঠে যায়। সেটাতে হেড দিয়ে সামনে থাকা শাহীনের কাছে দেন জনি। শাহীন জোরালো শটে জালে পাঠান বল। ৫৯ মিনিটে সমতা ফেরায় ভারত। এ সময় ডি বক্সের মধ্য থেকে বাংলাদেশের মো. তানভীর হোসেন হেড দিয়ে বল ক্লিয়ার করেন। সেটা পেয়ে যান বক্সের সামনে ভারতের গুরকিরাত। ডান পায়ের জোরালো শট জালে আশ্রয় নেয়। চলতি আসরে এটা ছিল তার ষষ্ঠ গোল। আর এই ম্যাচে দ্বিতীয়।
এদিকে খেলার ৬৭ মিনিটে ভারত এগিয়ে যেতে পারতো। হিমাংশুর নেওয়া শট গোলরক্ষক আসিফ ধরতে ব্যর্থ হন। বল জালে প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশের মো. আজিজুল হক অনন্ত। ৬৯ মিনিটে বাংলাদেশের মো. নাহিয়ান বামপ্রান্ত থেকে আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু গোলপোস্টের সামনে কেউ না থাকায় গোল হয়নি। এরপর এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাতে থাকে উভয় দল। কিন্তু আর কোনো গোল হয়নি। তাতে ২-২ গোলের সমতা নিয়েই শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা।
এরপর অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। খেই হারানো বাংলাদেশের যুবারা হজম করে ৩টি গোল। তাতে ৫-২ ব্যবধানে হেরে রানার্স-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। সিনিয়র নারী অথবা পুরুষ—নিকট অতীতে কেউ পারেনি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিততে। তবে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের সুযোগ ছিল বাংলাদেশের যুবাদের সামনে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: