মিডিয়াতে তারকাদের বিচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সন্তানরা: সিদ্দিক

প্রকাশিত: ০৭ আগষ্ট ২০২২, ১২:৩৮ পিএম

নাট্য জগতের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ সিদ্দিকুর রহমান। যার উপস্থিতিতে ভাবগম্ভীর দর্শকও হাসতে বাধ্য হন। হাস্যরসাত্বক অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মণিকোঠায় স্থান দখল করে নিয়েছেন এই অভিনেতা। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাতেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সরব দেখা যায় তাকে। প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত প্রকাশ করে থাকেন। সম্প্রতি নিজের ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে কথা বলেছেন বিডি২৪লাইভ-এর সঙ্গে।

বিডি২৪লাইভ: কেমন আছেন ও বর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন?

সিদ্দিকুর রহমান: জ্বি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। বর্তমানে নিজের কাজ, ব্যবসা ও পরিবারকে নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছি। একটি মাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করে দশ দিন অভিনয়ে, দশ দিন ব্যবসায়িক কাজ এবং বাকি দশদিন পরিবারকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করছি। এসবের মাঝেই নিজের এলাকার মানুষেরও পাশে দাড়াচ্ছি। নিয়মিত এলাকায় যাচ্ছি, সেখানে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত করছি।

বিডি২৪লাইভ: সংসদ নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?

সিদ্দিকুর রহমান: পরিকল্পনা অবশ্যই রয়েছে। কারণ সেবা সব জায়গা থেকে করা যায় তবু একটা প্লাটফর্ম লাগে। একজন নেতা যা পারেন একজন অভিনেতা তা পারেন না। একজন নেতা যেভাবে মানুষের পাশে দাড়াতে পারেন সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন সেভাবে একজন শিল্পী পারেন না।  তবে এখন আমার পরিচয় শুধুই অভিনেতা।

বিডি২৪লাইভ: সম্প্রতি মিডিয়াতে তারকাদের বিচ্ছেদ নিয়ে আপনাকে বেশ উদ্বিগ্ন দেখা গেছে!

সিদ্দিকুর রহমান:  সারাবিশ্বই মিডিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। সাধারণ মানুষ তারকাদের অনুসরণ করে অনুকরণ করে। ওই জায়গা থেকে আমি মনে করি এটা দুঃখজনক। আমাদের যে ঘন ঘন ডিভোর্সগুলো হচ্ছে এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের যে বাচ্চারা আছে বা যারা ভবিষৎ প্রজন্ম তাদের জন্যও এটা খুবই বিব্রতকর যা তাদেরও কাম্য নয়। এই ধরণের ঘটনায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এমন ঘটনা আমার জীবনেও ঘটেছে।

যেসব ফ্যামিলি দীর্ঘসময় একসঙ্গে থাকার পরও ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে আসেন, তাদের ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক। মা-বাবা ডিভোর্সের পরে ভুক্তভোগী হন বাচ্চারা। কিন্তু তাদের কোনো দোষ নেই। তাহলে তারা কেন এসবের শাস্তি পাবে। তবে উভয়কেই স্যাক্রিফাইস করে চলতে হবে। স্যরি বলার মন মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই হয়ত একসঙ্গে থাকা যাবে।

বিডি২৪লাইভ: আপনার সন্তান আরশ বর্তমানে কার কাছে থাকছেন?

সিদ্দিকুর রহমান: আদালতের নির্দেশে আরশ সপ্তাহে পাঁচ দিন মায়ের কাছে থাকে বাকী ২ দিন আমার কাছে থাকার কথা তবে আমি মাঝে মাঝে নিয়ে আসি। তার পড়াশোনার ক্ষতির কথা চিন্তা করে রেগুলার আনা হয় না। কারণ, পৃথিবীতে মা’ই হচ্ছে সন্তানের প্রাথমিক শিক্ষালয়। অতএব বাচ্চাদের মায়ের কাছে থেকে মানুষ হতে হবে এটাই স্বাভাবিক। সুতরা্ং আমি চাই আরশ যতদিন তার মাকে মা বলে ডাকতে পারে ততদিন যেন মায়ের কাছে থাকে।

বিডি২৪লাইভ: আপনার প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে কি?

সিদ্দিকুর রহমান: না, তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ হয় না। আমি হয়তো কয়েকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে চায়নি। শুধুমাত্র ছেলে আরশের জন্য যোগাযোগ করি সেটা ফ্যামিলি টু ফ্যামিলি। আরশের জন্য তাদের কোনো ডিসিশন থাকলে দুই পরিবার মিলে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়।

বিডি২৪লাইভ: বিয়ের ব্যাপারে কি ভাবছেন?

সিদ্দিকুর রহমান:  না আপাতত এসব নিয়ে ভাবছি না। কারণ ভূমিকম্পে যদি বাড়িঘড় ভেঙে যায়। সেই বাড়িঘড় মেরামতে টাইম নিতে হয়, ময়লাগুলো পরিষ্কার করতে হয়। হতে পারে আমার কিছু ভুল ছিল সেজন্য আজকে ডিভোর্স হয়ছে। সেই ভুলগুলো সংশোধেনের চেষ্টা করতেছি। এসব কিছু শুধরে যখন মনে হবে আমি এখন বিয়ের জন্য পারফেক্ট তখন আমি আবার বিয়ের চিন্তা করর। তার আগে না। সবচেয়ে বড় কথা, আরশ যত দিন নিজেকে বুঝতে ও ঘুছাতে না পারবে ততদিন বিয়ের কথা ভাবছি না। যখন সে এসব পারবে তখন হয়ত ভাবব। তবে দেরি হবে।

বিডি২৪লাইভ: পছন্দের কেউ আছে কি-না

সিদ্দিকুর রহমান: না এই মুহূর্তে আমার পছন্দের কেউ নেই। অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান আপাতত সিঙ্গেল (হাসি)।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: