সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীর তীররক্ষা বাধে ভাঙ্গন, উদ্যেগ নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের

প্রকাশিত: ০৭ আগষ্ট ২০২২, ১২:৫৭ পিএম

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বৃষ্টির কারণে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র স্রোতের কারনে নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় দেড়শ মিটার তীর এলাকা ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের তীব্রতায় হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী স্থাপনা, হাট বাজার এবং তারাকান্দি-ভূঞাপুর মহাসড়ক। ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের ভাঙন কবলিত মানুষ। আতঙ্কে কাটাচ্ছেন এলাকার মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কয়েকদিনে যমুনা নদীর পানি হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা উত্তর পাড়া ছক্কা মিয়ার বাড়ীর পশ্চিম পার্শে যমুনা নদীর বামতীর রক্ষা বাধ ধ্বসে যায়। এ কারনে বাধে ভাঙ্গনের ব্যপকতা বেশী হলে হুমকির মুখে পড়বে তারাকান্দি-ভূঞাপুর মহাসড়কসহ স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী স্থাপনা ও কৃষি জমি। এতে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় কামাল হোসেন মুসা, শাহজাহান মিয়া, সানজিদা, শিক্ষার্থী সাদিয়া, আনিস মিয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অনেকে বলেন, এ বাঁধ ভেঙে গেলে তারা নিঃস্ব হয়ে যাবেন। তখন তাদের মরণ ছাড়া উপায় কোন উপায় থাকবে না। সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। কিছুই রক্ষা করা যাবে না। শতশত বিঘা জমি পানিতে তলিয়ে যাবে। এ নিয়ে তারা খুবই আতঙ্কে আছেন। এছাড়া বাধ ভেঙ্গে গেলে তারাকান্দি-ভুয়াপুর মহাসড়কটিও হুমকির মুখে পড়বে বলেও জানান তারা।

পিংনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বামতীর রক্ষা বাধে ধস দেখা দিয়েছে। বাঁধ রক্ষায় দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা উচিৎ। তা না হলে বাধ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১০ইং সালে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন থেকে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ফুটানি বাজার পর্যন্ত ৩টি পয়েন্টে ৪৫৫ কোটি টাকার ব্যয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ নির্মাণের কাজ ২০১৭ ইং সালে শেষ হয়। প্রায় এক মাস পূর্বে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা উত্তর পাড়া এলাকার ছক্কা মিয়ার বাড়ি পাশে যমুনা নদীর বাম তীর রক্ষা বাধের প্রায় ৫০ মিটারে ধ্বসে যায়। পানি কমে যাওয়ার পর কিছু জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ, যমুনার পানি বৃদ্ধির কারণে ৫০ মিটারের মতো ধসে গেছে। জায়গাটি আমদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে। ইতিমধ্যে ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রাথমিকভাবে চার হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: