দেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গার স্থান হলে বাংলাদেশে জন্মে কি আমরা পাপ করেছি?

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৩:৫৪ পিএম

দেশের মানবিক সরকার যখন একদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের পূনর্বাসন করতে ব্যস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের ছিন্নমূল আলী নগরে চলছে নোটিশ ছাড়াই বসতি স্থাপনা উচ্ছেদের হিড়িক। এ অবস্থায় পূনর্বাসনের মাধ্যমে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

গতকাল ৭ আগস্ট ছিন্নমূল আলী নগরে এ বিষয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে আলী নগরবাসী। বিক্ষোভ সমাবেশে, নোটিশ ছাড়া স্থাপন উচ্ছেদ, বিনা কারণে ভূমিদস্যু আখ্যা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে ছিন্নমূলের আলী নগরে বসবাসকারীদের প্রতি সরকারের আন্তরিকতা প্রত্যাশা করেন তারা। একই সঙ্গে খতিয়ানভূক্তদের জমি দখন না করতেও অনুরোধ জানান তারা।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাহাড়ি জমি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযানে নামে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি উন্নয়নের বিরুদ্ধে নয় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি "আগে পূনর্বাসন পরে উচ্ছেদ অভিযান" এ প্রতিপাদ্যে জমি দখলমুক্ত করুক সরকার। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে শতশত নারী-পুরুষ ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে আশ্রয় হারানো পরিবারগুলো জানায়, দেশে যদি ১১ লাখ রোহিঙ্গার জায়গা হয় তাহলে বাংলাদেশে জন্মে কি আমরা পাপ করেছি? কেন আমাদের প্রতি এমন অবিচার? কেন আমাদেরকে সন্ত্রাসী আর ভূমিদস্যু আখ্যা দেওয়া হচ্ছে? সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়ে উল্টো আমাদের সন্ত্রাসী তাকমা দেওয়ার কোনো যুক্তি আছে? আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এখান থেকে আমাদের উচ্ছেদ করতে হলে আগে আমাদেরকে মেরে ফেলতে হবে।

এর আগে গেলো ৩রা আগস্ট বসতি স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিশাল মানববন্ধন করে বিকেলে বায়েজিদ লিংক রোড় অবরোধ করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এ মানববন্ধনেও মানুষের মৌলিক ৫ অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: