যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন আইজিপি, আশা পররাষ্ট্রসচিবের

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৪:২৯ পিএম

তেমন কোনো অুসবিধার সম্মুখীন না হলে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ যোগ দিতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা সফররত মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য পুলিশের সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের অংশগ্রহণ নিয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দেখা যাক, যদি কোনো রকমের অসুবিধা না হয় তাহলে আমরা আশা করছি ওনি যোগ দিতে পারবেন। আর যদি সমস্যা থাকে, সেটা আমরা আগেই জানার চেষ্টা করব। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জাতিসংঘের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ এগ্রিমেন্ট আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ রকম একটা জেন্টেলমেন্টস এগ্রিমেন্ট বা কনভেনশন আছে। অতীতেও আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ নিয়মের ব্যতিক্রম দেখেছি। এটা না হওয়া পর্যন্ত বলা মুশকিল।

আইজিপির নিউইয়র্ক যাওয়ার বিষয়ে সরকারের গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এটা নিয়ে আমরা এখনও যোগাযোগ করিনি। যেহেতু জিও হয়েছে, সেহেতু তার (আইজিপি) যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।

আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে পুলিশ প্রধানদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওই সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ওই দলে আছেন আইজিপিও। গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. হারুন-অর রশিদ স্বাক্ষরিত জিওতে বলা হয়, প্রতিনিধি দল আগামী ৩০ আগস্ট বা তার কাছাকাছি সময়ে নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে এবং তারা ৩ সেপ্টেম্বর বা কাছাকাছি সময়ে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনে’র অভিযোগ এনে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এবং এর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। ওই দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, মাদকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধে অংশ নিয়ে র‌্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এতে হুমকির মুখে পড়েছে। ট্রেজারি বিভাগের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের (র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক) নামও ছিল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: