শ্রমিক লীগ সভাপতি সোহেলকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৮ আগষ্ট ২০২২, ০৬:০৬ পিএম

ফতুল্লা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি পিয়াস আহাম্মেদ সোহেলকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফতুল্লা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ। সোমবার (৮ আগষ্ট) সকাল ১০ টার সময় পাগলা বাজার এলাকায় ফতুল্লা থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাত্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম রাহাত, জাতীয় শ্রমিক লীগ ফতুল্লা আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম হুমায়ুন কবির, জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির, ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু, জাতীয় শ্রমিক লীগ ফতুল্লা থানার সহ-সভাপতি মোঃ অহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির হোসেন রাজু, প্রচার সম্পাদক মোঃ লিটন শিকদার, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন, সহ অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন, রিপন আকন, ফতুল্লা থানা হকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুর মোহাম্মদ, ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মাষ্টার সহ শ্রমিক নেতা পলাশের হাতে গড়া বিভিন্ন বেসিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, রোববার (৭ আগস্ট) সকালে পিয়াস আহম্মেদ সোহেলের মোবাইলে কল করে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতি এ হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় পিয়াস আহম্মেদ সোহেল দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী (নং -৪৩৮) করেন।

পিয়াস আহম্মেদ সোহেল জানান, সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার ব্যবহৃত ০১৭১১৩৩০০৯৬ মোবাইল ফোনে ০৯৬৩৮০৪৪৩৭১ নাম্বার থেকে ফোন করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ হত্যা করার হুমকি দিয়ে ২৫-৩০ সেকেন্ডের মধ্যে লাইনটি কেটে দেয়। এ সময় হুমকিদাতার পরিচয় জানতে চাইলে তাকে বলা হয় এলাকায় থাক আসতেছি বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

তিনি আরো জানান, ২০১২ সালের ২৭ আগস্ট রাত দশটার দিকে আলীগঞ্জ সমিল সড়কে তার নিজ বাড়ীর গলিতে তাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। সে যাত্রায় তিনি বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্বের জীবন বইতে হচ্ছে তাকে। সে সময়ও সন্ত্রাসীরা তাকে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে তাকে ফোন করে আক্রমনাতক কথা বলতো। তাকে গুলি করার ২০-২৫ মিনিট র্পূ্বেও মোবাইল ফোনে তাকে হুমকি রুপ কথা বার্তা বলে। সে সময় তিনি ফোনের বিষয়গুলোতে আমলে না নেয়নি। কিন্ত রোববারের ফোনে হুমকির পর থেকে তিনি অনেকটাই আতংকিত। তাই তিনি ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। সাধারণ ডায়েরীর তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তফা কামাল খান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: