পরকীয়ার পথের কাঁটা সরাতে নারী চিকিৎসককে খুন: র‍্যাব

প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২২, ০৫:৪৯ পিএম

ফেসবুকে পরিচয়, পরিবারকে না জানিয়ে ২০১৯ সালে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম বিয়ে করেন রেজাউল করিম ওরফে রেজাকে। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর বিরুদ্ধে পরকিয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। এরপর থেকেই সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। র‍্যাব বলছে, মূলত পরকীয়ার পথের কাঁটা সরাতে নারী চিকিৎসককে খুন করেন স্বামী রেজা। আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

খন্দকার আল মঈন বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাতে রেজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে থেকে রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ও ব্যবহৃত ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, ঘাতক স্বামী রেজাউল করিম স্ত্রী জান্নাতুল নাঈমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বেশকিছু আগেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যাগে ধারালো অস্ত্র বহন করছিলেন তিনি। ১২ আগস্ট ঘটা করে জান্নাতুল নাঈমের জন্মদিন পালনের কথা বলে ১০ আগস্ট তাকে পান্থপথের ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট নামের একটি আবাসিক হোটেল নিয়ে যান। সেখানে কথা কাটাকাটি, বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির এক পর‌্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে ছুরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর গোসল করে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে চট্টগ্রাম চলে যান রেজাউল।

তিনি জানান, হত্যাকান্ড সম্পন্ন হলে ঘাতক রেজা প্রথমে মালিবাগে তার বাসায় যান। বাসা থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে একটি হাসপাতালে গিয়ে তার নিজের হাতের ক্ষত স্থান সেলাই করে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে গিয়ে মুরাদপুরে আত্মগোপন করেন। রেজা ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। এমবিএ চলাকালে সে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত ফ্যামিলি সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট আবাসিক হোটেল থেকে ওই নারী চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহ্ন দেখা যায়। পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: