ফেনীতে বিএনপি-আ.লীগ এবং পুলিশ ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২২, ০৯:৩৪ পিএম

কামরুল হাসান নিরব, ফেনী থেকে: দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি,জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে আহত নেতাকর্মীদের বিচারের দাবিতে বিকাল ৩ টায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ভিতরের বাজার ইসলামপুর রোড়ের গলিতে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করে।লোকজন জড়ো হওয়ার পর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহারের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আলালের সঞ্চালনায় সমাবেশ চলাকালীন হঠাৎ আক্রমন শোরগোল সৃষ্টি হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পূর্বে সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন ভূইয়া এবং জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি বেলালের বক্তব্য রাখা অবস্থায় হঠাৎ ছাত্রলীগ-যুবলীগের একটি মিছিল হতে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে বলে দাবি করে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল। অপরদিকে ফেনী মডেল থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান,পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে দু'পক্ষই ধাওয়া করে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে ১৫ রাউন্ড গুলি বর্ষন করে। এই বিষয়ে উপজেলা আ'লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন' হামলার ঘটনায় পুরোপুরি বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত। শহরে সন্ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিহত করতে মাঠে নামে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির দাবি'আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী পুলিশের সহযোগিতায় হামলা চালায়।হামলায় যুবদল কর্মী জিয়া, খুরশীদ, লিটন, ইমাম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রতন, সদর উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক জিয়া উদ্দিন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য অর্পণ, মৎসজিবী দল নেতা শেখ আবদুল্লাহ, ছাত্রদল কর্মী রাজিব, শাকিব, জাহিদুল ইসলাম শামীম, ইসমাইল হোসেন, মিজানুর রহমান, আশ্রাফ সহ ২৫-৩০ জন নেতাকর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা সমাবেশ থেকে বের হয়ে ভাংচুর শুরু করলে আমরা তাদের ধাওয়া করি। এ সময় তারা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। আমাদের কেউ আহত হয়নি। শহরে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের কারনে বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: