গৌড়ের 'গৌড়মতির' দাম হাঁকাচ্ছে ১২ হাজার টাকা মণ

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২২, ১২:১১ এএম

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: দেশের বেশির ভাগ জাতের আমের জোগান যখন শেষ হয়, ঠিক তখনই পাকতে শুরু করে গৌড়মতি। আমটি যেমন রসাল, তেমনি সুস্বাদু। এই নাবি জাতের আম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাবু আলী নামে এক আম চাষি। কৃষি বিভাগ বলছে, গৌড়মতি আমে অর্থনৈতিকভাবেও দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। কারণ মৌসুম শেষে বাজারে আসায় দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে এই আমের।

শুক্রবার(১২ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার আমনুরা রোডের জামতলাবাজার এলাকার বাবু আলীর 'আমিরা এগ্রো ফার্মে' গিয়ে দেখা যায়, ২০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে গৌড়মতি আমের বাগান করেছেন। শিবগঞ্জ উপজেলার বাবু আলী। এতে প্রায় ২ হাজার আমের গাছ লাগানো আছে। গত ১০ দিন থেকে এই আম দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার আম বিক্রিও করেছেন। আশা করছেন আরও ১৫ লাখ টাকার আম তিনি বিক্রি করবেন।

আমিরা এগ্রো ফার্মের মালিক বাবু আলী বলেন, গত ৫ বছর আগে ৩২ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন ফলের বাগান গড়ে তুলেছি। এর পরে তিন বছর আগে ২০ বিঘা জমিতে ২ হাজার গৌড়মতি আমের গাছ লাগিয়েছিলাম। গত বছর থেকেই এ গৌড়মতির গাছে আম আসতে শুরু করেছে। গত বছর প্রায় ৮ লাখ টাকার আম বিক্রিও করেছি। তবে এবার আশা করছি ২০ লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করতে পারব। যতদিন যাবে গাছ আরও বড় হবে। আমের ফলনও আরও বাড়তে থাকবে।

বাবু আলী আরও বলেন, আমার এই আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থনে সরবরহ করছি। বর্তমানে গৌড়মতি আম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা মণ দরে।

স্থানীয় শাহিদ আলী নামে এক কলেজ ছাত্র বলেন, কিছুদিন আগে শুনেছি এই বাগানে গৌড়মতি আম পাওয়া যাচ্ছে। তাই আজকে ১ হাজার টাকায়। ৫ কেজি আম কিনতে এসেছি।আমও কিনলাম। এই আম খেতে খুবই সুস্বাদু।তাই ইচ্ছে নিয়ে কিনতে এসেছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) রাজিবুর রহমান বলেন, আমটির প্রথম সর্বপ্রথম সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তাই বাংলার প্রাচীন এই জনপদের নামে ‘গৌড়’ থেকে ‘গৌড়’ আর মূল্য বিবেচনায় রত্নের সঙ্গে তুলনা করে ‘মতি’ শব্দের সমন্বয়ে নতুন জাতের এই আমটির ২০১৩ সালে নামকরণ করা হয়েছিল ‘গৌড়মতি’।

এটি একটি নাবি জাতের আম। সারাদেশের আমের জোগান যখন শেষ হয়, তখনই পাকতে শুরু করে গৌড়মতি। এই আম অত্যন্ত সুস্বাদু। আর যেহুতু সব আমের শেষে পাকে তাই এর দামও বেশ ভালো পায় চাষিরা। এই আম জেলার জন্য একটি নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: