কটেজ জোনের টর্চার সেল, চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২২, ০৭:২৩ পিএম

কক্সবাজারে শহরে কলাতলী জোনের শিউলি কটেজে ৪ পর্যটককে অপহরণ করে টাকা আদায়ের ঘটনার মামলায় ওই কটেজের দুই কর্মকর্তা গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাত ১১টায় পৌরসভার হোটেল মোটেল জোনের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার দুজন হলেন, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম খান ঘোনা গ্রামের নুরুল আজিমের ছেলে রাশেদুল ইসলাম(২৫) ও একই ইউনিয়নের বামন খাটা গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে মো. সাকিল (২২)। তারা শিউল কটেজের পরিচালনার সাথে জড়িত।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ৭ আগস্ট শিউলি কটেজ থেকে ৫ পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় উদ্ধার হওয়া পর্যটক সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককুল গ্রামের মৃত রশিদ আহমদের ছেলে কক্সবাজার সদর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলাটি তদন্তভারের দায়িত্ব পান ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই হামিদ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হামিদ বলেন, তদন্ত নেমে আমরা ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হই। তারমধ্যে সরাসরি জড়িত দুই আসামিকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করি।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সাথে আরও ৮/১০ জন জড়িত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা পর্যটকদের বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে এই কটেজে এনে নারী, মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আসছে বলে প্রাথমিক স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তারা পর্যটকদের আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখে এবং ভয় ভীতি দেখায় যে কোথাও অভিযোগ দিলে সেই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। যার কারণে ভুক্তভোগীরা কেউ অভিযোগ দেয় না।

ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, পর্যটক অপহরণ ও ব্ল্যাক মেইলের সাথে জড়িত একটি বড় দালাল সিন্ডিকেটের তথ্য পাওয়া গেছে। এর সাথে ক্ষমতাসীন দলের ওয়ার্ড পর্যায়ের কিছু নেতা জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। তদন্তে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: