বরিশালের লঞ্চে সন্তান প্রসব: আজীবন যাতায়াত ফ্রি

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২২, ১১:৩৩ এএম

ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ লঞ্চে ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে লঞ্চটির ডেকে এক ধাত্রীর সহায়তায় সন্তানটির জন্ম হয়। লঞ্চে ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকের পরিবারকে নগদ অর্থ উপহার দিয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। এদিকে জন্মের পর এই নবজাতক ও তার বাবা-মা‌য়ের লঞ্চে চলাচল আজীবনের জন্য ফ্রি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ এর সুপারভাইজার জিল্লুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রিন্স আওলাদ লঞ্চে কোনো নবজাতক ভূমিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারাও খুব খুশি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ওই শিশুর পরিবারকে লঞ্চের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শিশু ও তার মা-বাবার জন্য এই লঞ্চে যাতায়াত ফ্রি করা হয়েছে।

ওই প্রসূতির নাম ঝুমুর আক্তার। ২৫ বছরের এই নারী বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপু‌র ইউনিয়‌নের বাসিন্দা আব্দুল খালেকের মেয়ে ও নগরীর গড়িয়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা মো. হারিচের স্ত্রী।

ল‌ঞ্চে ছিলেন ঝুমুরের মা মিনু বেগমও। তিনি বলেন, কল্পনাতেই ছিল না তার নাতি লঞ্চে জন্ম নেবে। কারণ, আল্ট্রাস‌নোগ্রামের রিপোর্ট অনুযায়ী ডে‌লিভা‌রির তারিখ আরও ১৮ দিন পরে ছি‌ল। অবশ্য এতে অখুশি নন নানি, বরং লঞ্চে নাতি জন্ম নেয়ার ঘটনাটি তার কাছে এখন স্বপ্নের মতোই। তিনি আরও বলেন, আমার মে‌য়ে জামালপু‌রে স্বামীর সঙ্গেই থা‌কে। এত‌দিন সেখা‌নেই ছি‌ল। ডে‌লিভা‌রির সময় ঘ‌নি‌য়ে আসায় মে‌য়ে‌কে ব‌রিশা‌লে আনার জন্য রওনা হই। এর ম‌ধ্যেই পুত্রসন্তা‌নের জন্ম দি‌য়ে‌ছে আমার মে‌য়ে। আমরা অ‌নেক খু‌শি।

নবজাতকের মামি রুমকি বেগম বলেন, এখন বাচ্চা ও তার মা শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ আছে। আমরা খুবই আনন্দিত। কোনো বিপদ ছাড়াই আল্লাহ আমাদের হেফাজত করেছেন। লঞ্চে একজন নার্স ছিলেন। তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন ভোরে সিজার করানোর জন্য। তবে একজন ধাত্রী পেয়ে যাওয়ায় সন্তান প্রসবে কোনো সমস্যা হয়নি। ধাত্রী বলেন, ওদের পাশের সিটেই আমরা ছিলাম। অসুস্থ হয়ে পড়লে আমি নিজে তত্ত্বাবধায়ন করে সন্তান প্রসব করাই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: