পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি

প্রকাশিত: ১৯ আগষ্ট ২০২২, ১০:০৭ পিএম

'ভারতে গিয়ে আমি বলেছি, এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করার সেটা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি'- পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে গণফোরাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, এটা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ। অবিলম্বে মূল্যবোধহীন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য গ্রেপ্তার করতে হবে। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার অবমাননা এ দেশের জনগণ কখনো মানে নাই, মানবেও না। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রভু নয়। এ দেশের জনগণ কারও দাসত্ব কোনোদিন মেনে নেয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো যেসব রাষ্ট্রদ্রোহীরা দেশের জনগণকে দাসত্বের শৃঙ্খল পড়াতে চায় তাদের ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করা হবে এবং জনতার আদালতে বিচার হবে।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণফোরাম জোরদার দাবি করছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিয়ে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার সম্পন্ন করতে হবে।

অন্যদিকে চরমোনাইর পীর বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেওয়ার স্বীকৃতি। তিনি জনগণের রক্তে কেনা অধিকারের সাথে গাদ্দারি করেছেন, একই সাথে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করেছেন। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনতিবিলম্বে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতার দায়ে গ্রেপ্তার করে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শাস্তি দিতে হবে। সরকার যদি এটা না করে তাহলে প্রমাণ হবে, তার এই বক্তব্য সরকারের দালালি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এবং আওয়ামী সরকার দেশের সংবিধান, দেশের সার্বভৌমত্ব ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সাথে গাদ্দারি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। তাই যদি হয় তাহলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই সরকারকে মীর জাফর, লেন্দুপ দর্জি ও মোনায়েম খানদের পরিণতি স্মরণ করিয়ে দিতে চায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: