ভগ্নিপতি ও শ্যালিকাকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ২৪ আগষ্ট ২০২২, ০৬:২৭ পিএম

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাদুরতলা গ্রামের গৃহবধূ কুলসুম তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে তাকে এবং তার ভগ্নিপতি জাকির হোসেনকে চোর সাজিয়ে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। কুলসুম বলেন, তার স্বামী কাজের জন্য (মাছ ধরতে) নদীতে গেলে তার শশুর তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারধর করতেন। বাবার বাড়ি যেতে চাইলেও যেতে না দিয়ে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো।

২৩ আগষ্ট মঙ্গলবার বাবার বাড়ি যাবার জন্য পুত্রবধু কুলসুম তার ভগ্নিপতিকে গোপনে আসতে বলে এবং রাত ৯টার দিকে দুলাভাই জাকির হোসেন তার শ্বশুর বাড়িতে আসে। রাতে ভগ্নিপতির সাথে যাবার জন্য বাড়ী থেকে বের হলে তার চাচা শ্বশুর ইকবাল মুন্সী তাকে ও তার ভগ্নিপতিকে চোর সাজিয়ে আটক করে এবং লোকজন নিয়ে ঘটনা স্থলে বেধড়ক মারধর করে। শ্বশুরের বাড়িতে নিয়ে এসে তার শ্বশুর মোস্তফা মুন্সী ও চাচা শ্বশুর ইকবাল মুন্সী তাদেরকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে এবং মুখে গামছা দিয়ে বেধে এক রাত একদিন বেধাড়ক মারধর করে।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় এবং সত্যতা নিশ্চিত করে পাথরঘাটা থানায় খবর দিলে তৎক্ষণাৎ সঙ্গে সঙ্গে পাথরঘাটা ডিএস বি প্রধান মোঃ আনিসুর রহমান ও কনস্টেবল রুহুল আমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শ্বশুর কে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমত তিনি অস্বীকার করেলেও জিজ্ঞেসাবাদের এক পর্যায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতনে কথা স্বীকার করে, বলেন মেম্বারের কথায় আমরা শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি।

কুলসুম বলেন, আমার স্বামী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে বাহিরে গেলে আমার শ্বশুর আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। আমার বাবার বাড়ি থেকে কাউকে বেড়াতে আসতে দেয় না এবং আমাকেও বাবার বাড়ী বেড়াতে যেতে দেয়না। শ্বশুরের নির্যাতন সইতে না পেরে আমার দুলাভাই কে খবর দেই, তিনি আসলে তাকে চোর সাজিয়ে মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে পরের দিন বুধবার ভোর ৫ টা পর্যন্ত শিকলে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ শাকিল আহমদ শিবু এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ঘটনা জানি কিন্তু শিকলে বেধে রাখতে আমি বলিনি।

পাথরঘাটা থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি শুনেছি এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: