ব্যার্থতার দায় নিয়ে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে: এমপি হারুন

প্রকাশিত: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:১৯ পিএম

সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যার্থ। ব্যার্থতার দায় নিয়ে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।সরকার দেশকে দেউলিয়ার পথে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে বর্তমানে শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। টাকার অবমুল্যায়ন হয়েছে। এই সরকার দেশে একটি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচানো এবং মুক্তির একটি মাত্র পথ এই সরকারকে চলে যেতে হবে। বিদায়ের জন্য সরকারকে এখনই আলোচনায় বসতে হবে। সময় ঘনিয়ে এসেছে অনেক লুটপাট অনেক চুরি চামারি করেছেন আপনারা ১৪ বছরে।

শুধু ভোট চুরি নয়, বাংলাদেশের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করেছে। গোটা বাংলাদেশকে মাদকের রাজ্য বানিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। যারা দিনমজুর, রিক্সা চালক, যারা কৃষি কাজ করে যারা শ্রমিক তারা খুবই কষ্টে আছেন। রড,সিমেন্ট বালুর দাম এতো বেড়েছে এই সেক্টরের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম লাগামহীন। গত এক বছরে পরিবহন খাতে ভাড়া দিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগনের দুঃখ দুর্দশাকে নিয়ে এই সরকারের মন্ত্রীরা তামাশা করছে। কারন তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা বলছে দেশের মানুষ নাকি বেহেশতে আছে।

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্য মুল্যের সীমাহীন উর্দ্ধগতি, ভোলা ও নারায়নগঞ্জে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে ডোমার দেবীগঞ্জ সড়কের জুটমিল মাঠে ডোমার উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ উল্লেখিত কথাগুলো বলেন।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধংস করে দিয়েছে। দুই বছর করোনার কারনে স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল অটো পাশ দিয়েছে এবারও অটোপাশ দিচ্ছে। যদি এভাবে ৩/৪ বছর ধরে অটোপাশ দেয়া হয় আর লটারীর মাধ্যমে ভর্তি করা হয় তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থা কোথায় গিয়ে দ্বারাবে। একটি জাতিকে যদি ধংস করতে হয় তাহলে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করতে এসব করছে এই সরকার। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ঋন ছিল ৮হাজার টাকা এ সরকার ক্ষমতায় এসে বর্তমানে মাথাপিছু ঋন দ্বারিয়েছে ৩০হাজার কোটি টাকা।

ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রংপুর বিভাগ আব্দুল খালেক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রংপুর বিভাগ ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, ফরহাদ হোসেন আজাদ, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আখম আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম, ডোমার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান আনু প্রমূখ। বেলা ৩টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের পর থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিভিন্ন ইউনিয়ন হতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ শুরুর সাথে সাথে গোটা মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। মাঠে জায়গা না পেয়ে অনেকে রাস্তায় অবস্থান নেয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: