ক্রেতা নেই ধানের, দাম কমে বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৩৭ পিএম

বরগুনার হাটগুলোতে বেড়েছে ধানের সরবরাহ। তার তুলনায় বাজারে ব্যাপারী না আসার কারণে কমতে শুরু করেছে ধানের দাম। চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়া হতাশ কৃষকরা। বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭২০ থেকে ৭৪০ টাকায়। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ধানের দাম কমেছে মণপ্রতি ৮০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত।

ধান বিক্রি করতে না পেরে আক্ষেপ করে বাড়ি ফিরলে সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নে গিলাতলি গ্রামের মোতালেব। একই সঙ্গে কৃষকের অভিযোগ, ধান চাষ করি আমরা লাভের আশায়। কিন্তু সারা বছর পরিশ্রম করেও কোনো লাভ নেই। বাজারে পাইকাররা যে দামে ধান কিনছেন তাতে আমাদের উৎপাদন খরচই উঠছে না। সারের দাম বেশি, দুনিয়ার সবকিছুর দাম বাড়ে কিন্তু সেই হিসেবে বাজারে ধানের দাম বাড়ে না।’

বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কুমড়াখালী গ্রামের রশিদ ফরাজী বলেন, সার পানি কীটনাশকসহ সব খরচ শেষে যখন ধান ঘরে তুলতে হবে ঠিক সেই সময় দেখা দিলো শ্রমিক সংকট। বেশি টাকায় শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার পরে দেখা গেলো উৎপাদন খরচ উঠছে না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় পাইকারি সিন্ডিকেট করে ধানের দাম কমিয়ে দিয়েছে।

এ বছর আউশ ধান চাষ করে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এক মণ ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না তাদের। এ জেলায় আউশ মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াই শেষ পর্যায়ে। ব্যস্ততা দেখে মনে হবে ধানচাষিদের সুদিন এসছে। কিন্তু চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের হতাশার কথা।

বরগুনা পৌর বাজারের মেসার্স মুন্সি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী কবির মুন্সি বলেন, আউশের ভরা মৌসুমে বরগুনায় কিছুদিন ধরে ধানের দাম কমেছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি মনের দাম কমেছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা আর শুকনা বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৪০ টাকায়। অথচ প্রতি মণ ধানের উৎপাদন খরচ ৭০০ টাকার ওপরে।’

আউশের ভরা মৌসুমেও বরগুনায় বেড়েছে চালের দাম। বাজারে ধানের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে চালের দামের প্রভাব পড়েনি একটুও। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষসহ সব ধরনের ভোক্তারা।

জেলা খামারবাড়ির তথ্য মতে, আবাদের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩০৭৫ হেক্টর জমিতে, আবাদকৃত জমি ৫২৮১১হেক্টর, কর্তনকৃত জমি পরিমাণ ১২৫২৮ হেক্টর, হেক্টর প্রতি ফলন ২.৩০ মেঃ টন , চলতি মৌসুমে মোট আউশ ধানের উৎপাদন ২৮৮১৪.৪ মেঃ টন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরগুনা খামারবাড়ির, উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মোঃ জোবায়দুল আলম।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: