আ.লীগ নেতা হত্যার পরিকল্পনা হয় অপর আ.লীগ নেতার বাড়িতে

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৩০ পিএম

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নিহত পৌর আওয়ামী লীগ সাইদার মালিথাকে হত্যার পরিকল্পনা হয় সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মালিথার বাড়িতেই। হত্যার সেই মিশনের দায়িত্ব পান আলাউদ্দিনের ভাতিজা আনোয়ার আহম্মেদ স্বপন (৪২)। নির্দেশনা পেয়েই লোকজন নিয়ে নিজেই সাইদারকে গুলি করে স্বপন। হত্যার মুলহোতা এই স্বপনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম, সদর সার্কেল মো. রোকনুজ্জামানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইউনিয়নের গাফুরিয়াবাদ গ্রামের মো. আশরাফ উদ্দিন মালিথার ছেলে আনোয়ার আহম্মেদ স্বপন (৪২), পাবনা শহরের চক ছাতিয়ানির মৃত কালাম মালিথার ছেলে মোহাম্মদ আশিক মালিথা (২৮), কাশিপুরের মো. শাজাহান খানের ছেলে মো. রিপন খান (২৭), মাটি সড়ক গোপালপুরের আকবার হোসেনের ছেলে মো. নুরুজ্জামান রাকিব (২৪), একই এলাকার মো. রমজান আলীর ছেলে মো. ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি (২৬), এবং চক ছাতিয়ানির মৃত আব্দুল হাকিম মালিথার ছেলে মোহাম্মদ আলিফ মালিথা (২২)।

পুলিশ সুপার বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে জেলা পুলিশ, সদর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে কক্সবাজার, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বিভিন্ন স্থান থেকে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকালী ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বিদেশি পিস্তল, গুলি, টিপ চাকু, ২টি মোটরসাইকেল ও ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাসুদ আলম জানান, চাচাতো ভাই সাইদার মালিথার বিরোধ ছিল জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা। নির্বাচন পরবর্তীতে সেই বিরোধ কঠোর রুপ ধারণ করে। তাদের মধ্যে একাধিকবার ছোটখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটে। এই বিরোধে সাইদারকে জীবনের মতো শেষ করার পরিকল্পনা হেমায়েতপুরের ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চেয়ারম্যানের বাড়িতে বৈঠক হয়। এবং হত্যাকাণ্ডেের দায়িত্ব দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আসামিরা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া হবে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারিগরকে খুব শিগগিরিই গ্রেফতার করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর একটার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা (৫০)। এসময় ৬-৭ জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধলে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত সাইদার হেমায়েতপুরের চর প্রতাপপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর শাখা আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: