পিকআপের ভারে ভেঙে পড়ল সেতু

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:৫০ পিএম

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়নে নাছিরপুর খালের ওপর নির্মিত সেতুটি মাত্র ২০ বছরে ধসে ভেঙে পড়েছে। এ কারণে বিপাকে পড়েছেন দুই পারের ৫টি গ্রামের মানুষ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে বৃষ্টি ও কাদার মধ্যে বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। খালের দুই পারের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা ছিল সেতুটি।

স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার দুপুরে মাছের পোনাবাহী একটি পিকআপ ভ্যান নাছিরপুর খালের সেতুর ওপর ওঠা মাত্রই ভেঙে পড়ে সেতুটি। পরে খালের দুই পারে বসবাসকারী ৫ গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঘুরে একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের। সেতুর গায়ে সাঁটানো ফলক থেকে জানা যায়, ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে সাত লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদার সৈয়দ মিনার হোসেন কার্যাদেশ পেয়ে ২০০০ সালের ১৫ মে নির্মাণকাজ শেষ করেন। এ দিকে সেতুটি নির্মাাণের মাত্র ২০ বছরে ভেঙে পড়ায় এর নির্মাণ মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।

কপিলমুনি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়ালবাথান তালতলা এলাকার নাছিরপুর খালের পুরাতন ও জরাজীর্ণ এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এখন সেতু থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ওয়াপদার বাধের কাঁচা পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘুরে আসতে গেলে দুই থেকে তিন কিলোমিটার হেঁটে আসতে হচ্ছে।

এবিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম বলেন, গত রবিবার সেতুটি ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবরটি শুনেছি। মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় কাঠের সেতু বানানো হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: