জয়পুরহাট মুষলধারে বৃষ্টি, পৌরসভাসহ শহরের রাস্তাঘাটে এক হাঁটু পানি

ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটি থাকায় মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারনে জয়পুরহাট পৌরসভাসহ জেলা শহরের রাস্তাঘাটে এখন এক হাঁটু পানি। দুদিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ সারারাত ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি এবং বুধবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারনে জেলার সাধরণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি শাক সবজির ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গত ২৪ ঘন্টায় ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে যা এই মৌসুমে সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে। নিম্ন চাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
সদর উপজেলার পারুলিয়া এলাকার সবজি চাষী এন্তাজ আলী বলেন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে এক বিঘা জমিতে লাগানো ফুল কপি ও বাধা কপির বীজ সম্পুর্ন নষ্ট হয়েছে। সদরের পাচুরচক এলাকার কৃষক রবিউল ইসলাম জানান, পানিতে সবজির ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন তিনি। গুড়ি গুড়ি ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে সবজি ফসলের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনে কাজ করছে কৃষি বিভাগ বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ৮৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে দিন রাত ধরে গুড়ি গুড়ি আবার কখন ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে জন জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। জেলা শহরের অধিকাংশ দোকান পাঠ বন্ধ রাস্তাঘাটে তেমন লোকজনও নাই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের কারনে বিশেষ করে রিকশা-ভ্যান চালক ও দিন মজুর শ্রেনীর লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। ফলে পরিবারের লোকজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে জয়পুরহাট পৌরসভাসহ মাছ বাজার, সদর রাস্তা, গোরস্থান রোড, জানিয়ার বাগান, নতুনহাট, চিত্রাপাড়া, শান্তিনগর ও বিশ্বাসপাড়া এলাকায় রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি জমেছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: