জেলা পরিষদ নির্বাচন বাগেরহাটে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন টুকু

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:১১ পিএম

বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এসময় বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. ফরিদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ভুইয়া হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খান হাবিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল বাকি, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাছির উদ্দিন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সিতা রানী দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক শরিফা খানম, যুবলীগ নেতা মীর জায়েসী আশরাফি জেমস, লিটন সরকারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর বাগেরহাটে জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কথা রয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজন প্রার্থী, সদস্য পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। এবারের নির্বাচনে জেলার ৯টি উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও তিনটি পৌরসভার ১০৩৬ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

সরকারি দলের মনোনয়ন প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে প্রথমে জেলা পরিষদের প্রশাসক এবং পরবর্তীতে দুই মেয়াদে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বর্ষিয়ান এই নেতা।

বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু বৃহত্তর খুলনা জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, বৃহত্তর খুলনা জেলার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, বৃহত্তর খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছন। রাজনৈতিক কারণে ১৯৬২ থেকে ৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি ১০-১১ বার জেল খেটেছেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দীর্ঘ সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বৃহত্তর খুলনা মুজিব বাহিনীর প্রধান ছিলেন কামরুজ্জামান টুকু। সাতক্ষীরা, মোংলা সহ তিনি ৮০ টি ক্যাম্প গঠন করেন। বহু সম্মুখ যুদ্ধে পাক আর্মি ও রাজাকারদের পরাজিত করে এক বিশাল মুক্ত এলাকা গড়ে তোলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: