অবৈধ বালু উত্তোলন, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৩ পিএম

কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে কিছু কুচক্রি মহল। এমতাবস্থায় রামু উপজেলার একাধিক ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ডাম্পার, পানির পাম্প, ড্রেজার মেশিন ও এ সংশ্লিষ্ট দ্রব্যাদি জব্দ করা হয়। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাকমারকুল ইউনিয়নের নয়াপাড়া, মিয়াজিপাড়া, লম্বরীপাড়া এবং সিকদারের চর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে এ অভিযান চালিয়েছেন রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাহমিদা মুস্তফা।

তিনি জানান, চাকমারকুলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে একাধিক ড্রেজার মেশিনে বালি উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর বিধি বিধান লংঘনের দায়ে শওকত আলী, মো. কামাল এবং জাহাঙ্গীর আলমকে তিনটি পৃথক মামলায় পঞ্চাশ হাজার টাকা করে মোট দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়াও ঘটনাস্থলে একটি বালু ভর্তি ট্রাক জব্দ করে পরে মুচলেকা গ্রহণ ও জরিমানা আদায়পূর্বক ছেড়ে দেয়া হয়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে বদরখালি নৌ পুলিশ ফাড়ির একটি দল অংশ নয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁকখালী নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিকারে বালু উত্তোলন করে চলেছে শতাধিক ব্যবসায়ী। এতে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে কৃষি জমি ও বসতভিটাও পড়েছে হুমকির মুখে। পাশপাশি মেশিনের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে আশপাশের মানুষেরা। আর যত্রতত্র ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে রাস্তাঘাট ও বাঁধ নষ্ট হয়ে একদিকে যেমন চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে অন্যদিকে ধুলা স্তুপ পড়ে গেছে। এসব ধুলার কারণে বাসা-বাড়িতে থাকার অযোগ্য পরিবেশ হয়ে পড়েছে। অনেকেই এসব ধুলা বালির মধ্যে চলাচল করায় নানা ধরনের শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু তা নয়, সড়ক দিয়ে বে-পরোয়া ভাবে ডাম্পার চলাচল করায় দুর্ঘটনাও ঘটছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: