‘এক আনা তিন রতির সোনার দুলের জন্য শিশুকে গলা টিপে হত্যা’

নরসিংদীর শিবপুরে সোনার দুলের লোভে শিশু সায়মাকে গলা টিপে হত্যা করেন প্রতিবেশী সেলিনা বেগম ওরফে শেলী (২৮)। পরে ঘটনা আড়াল করতে শিশুর লাশ বস্তায় ভরে ঘরের মিটসেফে লুকিয়ে রাখেন। বুধবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সেলিনা বেগম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল রাত ৯টার দিকে জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় নিহত সায়মার বাবা সারোয়ার জাহান বাদী হয়ে প্রতিবেশী সেলিনা বেগম ও তাঁর স্বামী মো. হানিফকে (৪৫) আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবপুরের যোশর ইউনিয়নের যোশর বাজার এলাকার হানিফের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ সায়মার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে। পরে পুলিশ হানিফ ও তাঁর স্ত্রীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে।
গতকাল সন্ধ্যায় মামলা হলে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে দুজনকে নরসিংদীর আদালতে নেওয়া হলে সেলিনা বেগম হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দেন। নিহত সায়মা জাহান একই এলাকার সারোয়ার জাহানের মেয়ে।
আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে সেলিনা বেগম বলেন, তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে রাইছার সঙ্গে সায়মা খেলাধুলা করত এবং একে অন্যের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সায়মার কানে একজোড়া সোনার দুল দেখতে পান। দুলটি নেওয়ার জন্য তিনি সায়মাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে তাঁর ঘরে নিয়ে যান এবং দুল জোড়া খুলে দিতে বলেন, কিন্তু সায়মা দিতে চায়নি।
পরে তিনি জোরাজুরি করতে থাকলে সায়মা বিষয়টি তার মা-বাবাকে বলে দেওয়ার কথা বলে। এরপর দুল কেড়ে নিতে চাইলে সায়মা কান্না করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি সায়মাকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রান্নাঘরের মিটসেফে রেখে দেন।
নিহত সায়মার বাবা সারোয়ার জাৃহান জানান, ‘মাত্র এক আনা তিন রতি ওজনের একজোড়া সোনার দুলের লোভে আমার এইটুকু মেয়েকে তাঁরা এভাবে হত্যা করল। মামলা করেছি, আসামিরা গ্রেপ্তার। এখন আমার একটাই চাওয়া, দ্রুততম সময়ে বিচারকাজ করে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হোক।’
জানতে চাইলে শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, গ্রেপ্তার দুই আসামির মধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: