সন্তান জন্ম দেওয়ার ২ ঘণ্টা পর পরীক্ষার হলে মা

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৮ পিএম

কুষ্টিয়া শহরের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী সন্তান জন্ম দেওয়ার দুই ঘণ্টা পর কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। এতে ওই ছাত্রীর মনোবলের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা। আজ মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার পূর্ব মিলপাড়ার নগর মাতৃসদন হাসপাতালে ছেলে সন্তান প্রসব করেন এসএসসি পরীক্ষার্থী মেঘলা খাতুন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ মেঘলা খাতুনের বিয়ে হয়। তার স্বামী আল-আমিন একটি কারখানায় কাজ করেন। মেঘলা এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আগের পরীক্ষাগুলো ঠিকভাবেই দিয়েছে সে। তবে মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে কুষ্টিয়ার পূর্ব মিলপাড়ায় অবস্থিত নগর মাতৃসদন হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফুটফুটে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয় সে। এর কিছুক্ষণ পর মেঘলা খাতুন শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করলে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চায়। পরে পরীক্ষা পরিচালনা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেঘলা যথাসময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

জানা যায়, মা মেঘলা খাতুন আলাউদ্দিন আহামেদ ক্যাডেট স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল কুষ্টিয়া হাইস্কুল। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার চড় মিলপাড়ার গড়াই আবাসনে। পরীক্ষার আগে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেঘলা খাতুন বলে, আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। হাসপাতালের ডাক্তার ও স্টাফরা আমাকে মানসিকভাবে সাহস যুগিয়েছেন। এখানকার সেবার মান অনেক উন্নত। তাই আমি আমার সন্তানকে রেখে পরীক্ষা দিতে পেরেছি। এ বিষয়ে চিকিৎসক সুমাইয়া সারমিন বন্যা বলেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর আমরা মেঘলা খাতুনের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে তাকে পরীক্ষার হলে পাঠাই।

মাতৃসদন হাসপাতালের প্রজেক্ট ম্যানেজার রাহেলা পারভিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমিসহ আমাদের সকল স্টাফ আজকে খুবই আনন্দিত। কারণ একজন পরীক্ষার্থী আমাদের এখানে সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিল। আমরা এখানে আমাদের প্রতিটি প্রসূতি মাকে নিবিড়ভাবে যত্নের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে থাকি। আমি নবজাতক ও তার মাসহ পরিবারের মঙ্গল কামনা করি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: