প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সেই ৩ শিক্ষক কারাগারে

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৯ পিএম

চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভূরুঙ্গামারী থানা ও ইউএনও কার্যালয়ে রাত ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দীর্ঘ চার ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তবে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইংরেজি প্রথমপত্র ও মঙ্গলবার ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলা দায়ের করেন মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালীক চৌধুরী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমান, একই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল আহমেদ ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম।

অভিযোগ উঠেছে, ওই বিদ্যালয়ে কেন্দ্র থাকার সুবাদে কেন্দ্র সচিব ও গ্রেপ্তারকৃত দুই শিক্ষক প্রশ্নপত্রের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় তারা ওই প্রশ্নপত্র গোপনে নিয়ে যান। পরে নিজেদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার আগের দিন হাতে লিখে সরবরাহ করেন। তবে প্রশ্নপত্র ৫০০ থেকে ২০০ টাকায় যত্রতত্র বিক্রির অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

অনুসন্ধানে প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পাওয়া গেলে মঙ্গলবার রাত ১০টায় ভূরুঙ্গামারীতে আসেন দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম, সচিব প্রফেসর জহির উদ্দিন, জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শামছুল আলম। তারা উপজেলা নির্বাহীর কক্ষে রাত ১২টা পর্যন্ত বৈঠক করেন।

এদিকে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চলমান এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২২ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষার গণিত (১০৯), পদার্থবিজ্ঞান (১৩৬), কৃষিবিজ্ঞান (১৩৪) ও রসায়ন (১৩৭) বিষয়ের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হলো। স্থগিতকৃত বিষয়ের পরীক্ষার তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে স্থগিতকৃত বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষা রুটিনে উল্লেখিত সময়সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেল) মোরশেদুল হাসান জানান, শিক্ষা বোর্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলা দায়ের করেন মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালীক চৌধূরী। পরে আজ বুধবার দুপুরে ওই মামলাদে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: