একাধিকবার এনআইডি ডাউনলোডের সুযোগ দিবে ইসি

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০১ পিএম

বর্তমানে এনআইডি সংশোধন বা ভোটার হলে একবারের বেশি অনলাইন থেকে ভোটাররা নিজে দের জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) ডাউনলোড দিতে পারেনা এক্ষেত্রে না না সময় এনআইডি হারিয়ে গেলে নানা রকম ভোগান্তিতে পড়তে নাগরিকদের। এ ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে একাধিকবার নিজের এনআইডি ডাউনলোডের সুযোগ দিতে নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। মানুষের পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সঠিকতা নিরূপণে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) ফেস রিকগনিশন (মুখমণ্ডল সনাক্তকরণ) ব্যবস্থা ও ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) তথ্য যুক্ত করার জন্য সুপারিশ এসেছে বিভিন্ন সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব ছাড়াও একগুচ্ছ সুপারিশ ওঠে এসেছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় পরিচিতি যাচাই সেবা, সেবার প্রকৃতি, সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

আইডিইএ-২ প্রকল্পের কমিউনিকেশন পরামর্শক (জুনিয়র) মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুলিশ, র‌্যাব, পাসপোর্ট অধিদফতর, অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, গ্রামীণফোন, টেলিটক, মেটলাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি, টাইগার আইটি ও ইন্টার ক্লাউডের একজন করে প্রতিনিধিসহ ইসির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসা প্রতিনিধিরা ছাড়াও ইসি কর্মকর্তারা এক ডজনের বেশি সুপারিশ তুলে ধরেন। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- এনআইডিতে ফেস রিকগনিশন (মুখমণ্ডল শনাক্তকরণ) সিস্টেম, ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড) তথ্য যুক্ত করা, এনআইডি স্থায়ী ঠিকানা দৃশ্যমান করা, সব নাম ইংরেজিতে লিপিবদ্ধ করা, স্থায়ী ঠিকানা ইংরেজি লিপিবদ্ধ করা, অনলাইনে কার্ড সংশোধনের ক্ষেত্রে একাধিকবার নিজের এনআইডি ডাউনলোডের সুযোগ দেওয়া, স্মার্টকার্ডের চিপের ব্যবহার করা, ব্যাংকগুলো যাতে এনআইডি যাইয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় না করতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া, ইসির সঙ্গে চুক্তির পর সার্ভার ব্যবহার না করলেও ন্যূনতম সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা, চুক্তির মেয়াদ তিন বছর করা, স্বয়ংক্রিয় বিলিং সিস্টেম চালু করা, পার্টনার সার্ভিসের জন্য পৃথক সার্ভার স্থাপন করা প্রভৃতি।

এছাড়াও সেমিনারে সময় সময় সার্ভার ডাউন হওয়ার কারণে এনআইডি যাচাই করতে অসুবিধা, পার্টনাদের থেকে সাব ইউজার তৈরির ফলে এনআইডি যাচাই উন্মুক্ত হয়ে যাওয়াসহ বেশকিছু সমস্যার কথাও ওঠে আসে। নির্বাচন কমিশন চুক্তির মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ১৬৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাগরিকের তথ্য সরবরাহ করে থাকে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: