মো. নূর আলম

গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গোপালপুরের মৃৎ শিল্পীরা

                       
প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

শরতের নির্মল নীল আকাশ,প্রকৃতির সবুজের সমরোহে সাদা কাশফুল,শিউলির মনভোলানো সুগন্ধ, ঢাকের বাদ্য আর প্রতিমা তৈরিতে কারিগর ব্যস্ততা জানান দিচ্ছে দেবী দূর্গার আগমী বার্তা। আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠির মধ্যে দিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব সারদীয় দূর্গাপূজা। প্রতিমার কাজ প্রায় শেষ। দিনরাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। এ উৎসবকে ঘিরে দেবীদূগাকে বরণ নিতে পাশাপাশি চলছে মন্ডপ সাজানোর কাজ। এখন শারদীয় মেতে উঠার অপেক্ষায় হিন্দু সম্প্রাদায়েরা। সনাতন ধর্মাবলম্বাী শাস্ত্রমতে এবার দেবীদুর্গা গজে আরোহন করে মর্তে আগমন করবেন এবং নৌকায় চড়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন।

আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে রাতভর চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছেন প্রতিমা। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন গোপালপুরের প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা। তুলির আঁচরে মূর্ত হয়ে উঠছে দেবীর রূপ। এখন দম ফেলার সময় নেই মৃৎশিল্পীদের।

বৃহস্প্রতিবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রতিমা তৈরির কারিগরা বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়, কাদামাটি সহ প্রতিমা তৈরির উপকরণ দিয়ে তাদের নিখুঁত হাতের কারুকার্যে তৈরি করছে প্রতিমা।

প্রতিমা তৈরির কারিগর দিলীপ কুমার পাল বলেন, এবছর ৯টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছি। এখন দ্বিমাটির ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে এর পরে রংয়ের কাজ করা হবে। এদিকে আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে শারদীয় দূর্গাপূজা। তাই সময় ঘনিয়ে আসায় আমাদের কাজের চাপ অনেকটাই বেড়ে গেছে, যার কারনে সারাদিন কাজ করার পরে রাতেও কাজ করতে হচ্ছে। প্রতিমা তৈরির প্রকার ভেদে ২৫ হাজার থেকে ৫৫ হজার টাকা মজুরি পাওয়া যায়। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ার প্রতিমা তেরীতেও খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তেমন একটা লাভ হবেনা বলে অসন্তুষ্ঠ প্রকাশ করেছেন শিল্পীরা।

গোপালপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সমরেন্দ্র নাথ সরকার বিমল বলেন, আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বির্সজনে মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। গত ৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূজামন্ডপগুলোতে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর উপজেলায় ১টি পোরসভা ৭টি ইউনিয়নে ৪৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে।

এ বিষয়ে গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোশারফ হোসেন, বলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শান্তিপূর্ন ভাবে পূজা উৎযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তুহিন/সাএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।


পাঠকের মন্তব্য:

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

ভিন্ন স্বাধের খবর পড়ুন

বর্তমানে জাতীয় সংসদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, অপরাধ, সচিবালয়, আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা, বিনোদনসহ প্রায় সব গুরুত্ত্বপূর্ণ বিটেই রয়েছে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিক। এছাড়া সারাদেশে বিডি২৪লাইভ ডটকম’র রয়েছে প্রতিনিধি।

লাইফ স্টাইল

নিবন্ধন নং- ৩২

© স্বত্ব বিডি২৪লাইভ মিডিয়া (প্রাঃ) লিঃ
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭

ফোন: ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০, ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
ইমেইল: [email protected]