স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলে বৃদ্ধকে হত্যা

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫২ এএম

ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় বৃদ্ধ উজির আলীকে শ্বাসরোধে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক দম্পতিকে গ্রেফতারের পর আসল ঘটনা জানা যায়। স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক থাকার জেরে ওই বৃদ্ধকে বাসায় হত্যা করা হয়।

ঘটনার ৬ দিন পর অভিযুক্ত দম্পতিকে ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। উজির আলী মন্ডল গ্রাম সম্পর্কে গ্রেপ্তার নারীর দাদাশ্বশুর হয়। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই আল মামুন কবির। এর আগে আজ ভোরে ঝিনাইদহ সদর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাতে তাদের আশুলিয়া থানায় আনা হয়।

গ্রেপ্তার টুটুল (২২) কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর থানার পোড়াদহ এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের রবিউলের ছেলে। অপরজন টুটুলের স্ত্রী জেসমিন (২০) একই থানার কালিনাথপুর গ্রামের জসিমের মেয়ে। হত্যার শিকার উজির আলী মন্ডল অভিযুক্ত টুটুলের বাড়ি একই গ্রামে। পাড়া প্রতিবেশী হিসেবে সম্পর্কে উজির আলী মন্ডল তাদের দাদা হয়।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিল তারা। মোবাইল ট্রেকিং-এর মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে ঝিনাইদহ থেকে শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জেসমিনের সঙ্গে নিহত উজীর আলীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের দিন আসামি টুটুল বাইরে থেকে এসে তার স্ত্রী জেসমিন ও কথিত দাদা নিহত উজীর আলীকে অনৈতিক অবস্থায় দেখে ফেলে। তখন ক্ষোভে টুটুল উজীর আলীকে হত্যা করে। এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে স্ত্রী জেসমিনও সহযোগিতা করে। এই ঘটনার পর দম্পত্তি পালিয়ে যায়।

আল মামুন কবির আরো বলেন, সে সময় হয়তো জেসমিন স্বামী টুটুলকে ভুল বুঝিয়েছে, যে উজীর আলী তাকে ধর্ষণচেষ্টা করেছে বা পরকীয়া সম্পর্ক থাকলেও স্বামীর ভয়ে জেসমিনও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হতে পারে। তবে আরো জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে। আসামিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানায় পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকায় মো. আসলামের মালিকানাধীন টিনসেড বাড়ির একটি কক্ষ থেকে উজীর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে আশুলিয়ায় টুটুল-জেসমিনের দাদা পরিচয়ে এই ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে উজির আলী। সেই রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কক্ষে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় টুটুল-জেসমিন দম্পতি। এই ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর নিহতের বড় ভাই নাজির আলী বাদী হয়ে দম্পতিকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: