মাঝনদীতে সন্তানের জন্ম, লঞ্চে আজীবন ভাড়া ফ্রি

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১৫ এএম

ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ভোলামুখী একটি লঞ্চে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সুরাইয়া খাতুন নামের এক নারী। গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর)  রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেন্দীগঞ্জের কালীগঞ্জের কাছাকাছি মেঘনা নদীর মধ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ আল ওয়ালিদ-৯-এ এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই শিশুটির ও তাঁর পুরো পরিবার আজীবন এই কোম্পানির লঞ্চে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন বলে ঘোষণা দেন ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

লঞ্চ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে সদরঘাট থেকে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ আল ওয়ালিদ-৯-এ ওঠেন মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা নারী সুরাইয়া খাতুন। লঞ্চে তাঁর সঙ্গে কেউ ছিলেন না। একাই ডেকে বসেছিলেন। স্বামী ইউনুস তাঁকে লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চটি কালীগঞ্জের কাছাকাছি এসে পৌঁছলে প্রসব ব্যথা ওঠে সুরাইয়া খাতুনের। খবর পেয়ে লঞ্চের স্টাফরা দুই নারী যাত্রীর সহযোগিতায় তাঁকে লঞ্চের একটি কেবিনে নিয়ে যান। সেখানে রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে সুরাইয়া খাতুন এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।

পরবর্তীতে লঞ্চের ম্যানেজার মিজানুর রহমান শিশুটির নাম রাখেন বিবি মরিয়ম। লঞ্চটি ভোলার ইলিশাঘাটে পৌঁছলে লঞ্চের ম্যানেজার ৫ কেজি মিষ্টি কিনে লঞ্চে থাকা সব যাত্রীকে খাওয়ান। পাশাপাশি ওই শিশুটির ও তাঁর পুরো পরিবার আজীবন এই কোম্পানির লঞ্চে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন বলে ঘোষণা দেন।আল ওয়ালিদ-৯ লঞ্চের ইলিশাঘাটের সুপারভাইজর নূর নবী বলেন, ‘সুরাইয়া খাতুনের কালীগঞ্জ নামার কথা ছিল; কিন্তু আমরা তাঁকে ভোলার ইলিশাঘাটে নিয়ে আসি। এরপর ইলিশাঘাটে একজন চিকিৎসক নিয়ে প্রসূতি ও সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুটির পরীক্ষা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লঞ্চটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে কালীগঞ্জ ঘাটে গিয়ে পৌঁছলে সেখানে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ঘাটে সুরাইয়া খাতুনের শাশুড়ি ও ননদ মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষমায় ছিলেন।

তিনি আরো জানান, আল ওয়ালিদ-৯ লঞ্চে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ায় সবাই খুব খুশি হয়েছেন। ওই লঞ্চে আজীবনের জন্য ওই শিশুর পুরো পরিবারের ভাড়া ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: