চুল-পায়জামা দেখে মরিয়ম বললেন ‘এটাই আমার মা’

খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজের ২৭ দিন পর রহিমা বেগমের (৫২) লাশ পেয়েছেন বলে দাবি করছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মরিয়ম এক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন তার মায়ের লাশ বুঝে নিতে তিনি ময়মনসিংহে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ময়মনসিংহ, ফুলপুর যাচ্ছি। আমার হতভাগিনী মা’য়ের পঁচা গলা লাশ অফিসিয়ালি বুঝে নিতে। আমার সাংবাদিক ভাইবোন এবং আমার বন্ধু, আমার শুভাকাঙ্খীদের সাথে কথা বলবো এবং প্রশাসনিক সকলের সকল প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো আমার মায়ের লাশ অফিসিয়ালি আমার হাতে পাওয়ার পরে। কিভাবে আমার মায়ে’র লাশ আমি খুঁজে পেলাম সেই গল্পও আপনাদের শুনাবো,একটু সময় আমাকে দয়াকরে দিন। আমার মায়ের চুল, আমার মায়ের কপাল,আমার মায়ের হাত আমি চিনবো নাতো কে চিনবে!
এদিন খুলনা থেকে ময়মনসিংহের ফুলপুরে পৌছে সেখানে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের বিভিন্ন আলামত ও কাপড় দেখে মরিয়ম বলেছেন, ‘এটাই আমার মা।’ তবে পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পরই চূড়ান্ত সমাধান হবে বিষয়টির।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের বওলা পূর্বপাড়া গ্রামের একটি কবরস্থানে মেলে বস্তাবন্দি মরদেহ। পাশের একটি মসজিদের নির্মাণকাজ করা শ্রমিকেরা দুর্গন্ধের উৎসের খুঁজতে গিয়ে পায় লাশ। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর মরদেহ ময়মনসিংহের আঞ্জুমানে হেমায়েত গোরস্থানে দাফন করা হয়। নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর ফুলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজ মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতে নারীর বয়স উল্লেখ করা হয় ২৮ বছর।
ফুলপুরে উদ্ধার হওয়া নারীর লাশটি খুলনা নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) বলে দাবি করা হচ্ছে। রহিমা ওই এলাকার প্রয়াত মান্নান হাওলাদারের স্ত্রী। নিহতের ছোট মেয়ে তেজগাঁও কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী মরিয়ম বেগম ওরফে মরিয়ম মান্নান দাবি করছেন ফুলপুরে উদ্ধার হওয়া নারীই তার মা।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফুলপুর থানায় যান মরিয়ম মান্নান, তার বোন মনি, মাহফুজা আক্তার, আদরী আক্তার, ভাবী, চাচাতো ভাই রুম্মান হোসেন ও মরিয়মের এক ভাতিজা। পুলিশের কাছে সংরক্ষিত বিভিন্ন আলামত দেখানো হয় তাদের। ওই সময় পায়জামা দেখে ও মাথার চুল দেখে ‘এটাই মা রহিমা’ বলে শনাক্ত করেন মেয়ে মরিয়ম। পরিবারের অন্যরাও একই দাবি করেন। এ সময় তাদের আহাজারিতে সেখানে বেদনাঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। রহিমাকে প্রতিপক্ষরা হত্যার পর ফুলপুরে এনে ফেলে গেছে বলে ধারনা স্বজনদের।
মরিয়ম মান্নান সমকালকে বলেন, ‘মাকে চিনতে আসলে কোনো কিছুর প্রয়োজন হয় না। আমি নিশ্চিত এটাই আমার মায়ের লাশ। পায়জামাটা আমার মায়ের। আমার মায়ের উপর যারা হামালা করেছিল, তারাই এটি (হত্যা) করেছে।’
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: