মোবাইলে প্রেম, প্রবাসী স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে তরুণী

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩:০৯ পিএম

প্রায় দুই বছর আগে রাহিম শেখের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় এক প্রবাসীর স্ত্রীর। সেই পরিচয় রূপ নেয় প্রেমে। একপর্য়ায়ে বিয়ের কথা বলে প্রেমের সূত্রে হয় শারীরিক সম্পর্ক। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তালবাহানা করতে থাকেন পরকীয়া প্রেমিক রাহিম। এমনকি বেধে দেন শর্ত। ডিভোর্স দিতে হবে প্রথম স্বামীকে। যেমন কথা ঠিক তেমন কাজ। মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্সও দেন। কিন্তু ডিভোর্সের প্রেমিক জানান তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। অবশেষে কোনো উপায়ন্ত না দেখে গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাহিমের অবস্থান নেন তরুণী। তবে ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেমিক ও তার পরিবারের লোকজন।

সম্প্রতি ঘটনাটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার। আজ শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গিয়ে দেখা যায়, তরুণী ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন। এর আগে শুক্রবার উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বিনিরাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামে অনশন শুরু করেন তিনি। অভিযুক্ত রাহিম শেখ উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের বিনিরাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের সেকান্দর আলীর শেখের ছেলে।

ভুক্তভোগী তরুণী জানান, প্রায় সাত বছর আগে এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আমার। বিয়ের পাঁচ বছর পর রাহিম শেখের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয়। ওই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সূত্রে রাহিম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নারীকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধীকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে রাহিমকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। রাহিম প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বলেন। তার কথা মতো প্রবাসী স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি। কিন্তু ডিভোর্স দেওয়ার পর আর বিয়ে করবে না বলে জানায়। পরে কোনো উপায়ন্ত না দেখে সকালে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে চলে আসি। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রাহিমসহ তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে না থাকায় এবং রাহিম শেখের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও তা বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শহিদুল্লাহ শহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই তরুণী ছেলের বাড়িতেই অবস্থান করছে। তবে আমি দুই পক্ষের অভিভাবক পর্যায়ের কাউকে পাইনি। জাঙ্গালীয়া ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ার বলেন, ঘটনাটা সম্পর্কে শুনেছি। দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: