কিশোরগঞ্জে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ২ গোলে হারলো

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:২১ পিএম

দেশের বিভিন্ন জেলায় নিজের দল নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে স্থানীয় ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বনাম ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির মধ্যে আয়োজন করা হয় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।

বিকেল ৪টায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্টেডিয়ামে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির মুখোমুখি হয় ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফুটবল দল। এতে দুই গোলের ব্যবধানে জয় পায় ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফুটবল দল। খেলায় অংশ নেন ব্যারিস্টার সুমনও। দুটি গোলেই করেন ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফুটবল দলের প্লেয়ার ফয়সাল।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আপনারা শুনে রাখেন, যে ডিস্ট্রিক্টের গার্ডিয়ান মহামান্য রাষ্ট্রপতি সেই ডিস্ট্রিক্টরে কখনোই হারানো যায় না। তিনি এখান থেকে বার বার জিতে এমপি হয়েছেন। এখন দেশের রাষ্ট্রপতি। আমি আপনাদেরকে হারাতে আসি নাই। আমি এসেছি এই মাটির গন্ধ শুঁকতে। কি কারণে এই মাটি থেকে শুধু রাষ্ট্রপতির জন্ম হয়, এটা দেখতে।

এই মাটিটা শুঁকে যেতে চাই। তবে দুঃখের বিষয় কিশোরগঞ্জের এই স্টেডিয়ামে আইসা দেখি মাটি খুঁজে পাওয়া যায়নি শুধু বালু আর বালু। মাঠের যত্ন কম দেখলেই বুঝা যায়।তিনি আরও বলেন, ফুটবল গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খেলা। মানুষকে নির্মল আনন্দ দিতেই আমার এ উদ্যোগ। তিনি আরও বলেন, আমার বয়স ৪৪। আমি বিয়ে করে ফেলেছি।

আমার চারটা বোন, তাদেরকেও বিয়ে দিয়েছি। না, হলে কিশোরগঞ্জেই আত্মীয়তা করতাম। তবে আত্মীয়তার সুযোগ না থাকলেও এ মাটিতে ঘাম ফেলে যাচ্ছি। ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, আমি জানি খেলায় আপনারা কিশোরগঞ্জের পক্ষেই থাকবেন। ছেলেরা আমার পক্ষে না থাকলেও আমার বোনরা আমার পক্ষে থাকবে। এই প্রথম কোনো ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে আমরা খেলতেছি।

তাই আমার দলের পক্ষ থেকে ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাই। রাষ্ট্রপতির ছেলে তুষার ভাই আমাকে দাওয়াত দিয়ে এনেছে তাই আমি অনেক সম্মানিত বোধ করতেছি। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে অনেক দিন পর প্রাণ ফিরে পেল কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম। ব্যারিস্টার সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে হাজির হয়েছেন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। খেলা শুরুর আগেই স্টেডিয়ামের গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যায় দর্শকের উপস্থিতিতে। অনেক দর্শককে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

প্রীতি ফুটবল ম্যাচে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. প্রিয় ব্রত পাল, গুরুদয়াল কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. আরজ আলী, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে ব্যারিস্টার রিয়াদ আহম্মেদ তুষার, কিশোরগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন দীর্ঘদিন ধরে দেশের পিছিয়ে পড়া ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের ফুটবল টিম নিয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলছেন।

এর আগে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের উমেদ আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই ফুটবল খেলায় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও স্থানীয় আকবপুর শততারা ফুটবল একাডেমি অংশ নেয়। এতে ২-০ গোলে আকবপুর শততারা ফুটবল একাডেমিকে হারিয়ে বিজয়ী হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি। খেলায় ব্যারিস্টার সুমন একটি গোল করেন। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু।

এছাড়া স্থানীয় তালজাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু জাহেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে খেলায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া শাহীন, তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া চাঁন মিয়া, নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক স্বপন, তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লাকী, তাড়াইল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হক আকন্দ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার প্রমুখ।

জমজমাট খেলাটিতে আনন্দে মাতেন দর্শকরা। এদিকে অনেক দর্শক মাঠে জায়গা না পেয়ে আশপাশের স্কুল ভবন, টিনের চাল ও উঁচু গাছে অবস্থান নেন। এমনকি খেলা শুরুর আগেই দর্শকরা উমেদ আলী ভূঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় ঘরের টিনের চালায় উঠে পড়েন। এতে দর্শকের চাপে টিনের চালা ভেঙে পড়ে। এতে আহত হন অন্তত ১৫-২০ জন দর্শক।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: