শেষ মূহুর্তে প্রতিমাকে‌ প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:২৭ পিএম

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে: হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এ উৎসবকে ঘিরে সরকার ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এবারো কঠোর নিরাপত্তা নিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। উপজেলায় এবার ২৯ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপন হবে বলে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শ্রী শচীন দেব বর্মন কুমার জানিয়েছেন।

সরজমিনে বেশ কয়েকটি মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একটি প্রতিমা তৈরির জন্য সিংহ, মহিষের মাথা, ময়ুর, হাঁস, পেঁচা, ইঁদুর, সাপ, দূর্গা, মহিসাশুর, শ্বরস্বতী, লক্ষ্ণী, কার্তিক ও গণেশের সমন্বয়ে একটি প্রতিমার পূর্ণাঙ্গ রুপ নেয়। প্রতিমাগুলোতে কারিগররা এখন রঙের কাজ করছেন। আগামী ১ এপ্রিল শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে বলে ভক্তরা জানিয়েছেন।

কারিগরদের ভাষ্যমতে একটি প্রতিমা তৈরিতে কমপক্ষে ৫/৭ দিন সময় লাগে। আর একটি ছোট প্রতিমাতে ২০/২২ হাজার ও বড় প্রতিমাতে ৪০/৪২ হাজার টাকা কারিগররা পারিশ্রমিক নেয়।

রহনপুর হলপাড়ার বাসিন্দা ভক্ত পবিত্রা রানী জানান, এবার যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছে বেশী। তাই মা দূর্গা নৌকায় করে আসবে। গতবছর করোনার কারণে ভালোভাবে উৎসব পালন করতে পারেনি। কারণ অনেক বাধ্যবাধকতা ছিলো। এবার ভালো করে উৎসব পালন করবো বলে আশা করছি।

প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রী পবিত্র পাল জানান, এটা আমাদের বাপ দাদার পেশা। আমি দীর্ঘ ১৮ বছর এই কাজ করে আসছি। বিগত বছর করোনা মহামারির কারণে ঢিলাঢালাভাবে দায় সেরেছিল পূজা মন্ডপ কমিটি। এ বছর আশায় বুক বেধেছিলাম, কিন্তু বৈশ্বিক যুদ্ধের কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তাই খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবারও লোকসান গুনতে হবে। স্থানীয় পূজা কমিটিও এ বাজেট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। গতবছর সবমিলিয়ে এক লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পেরেছিলেন এবার দেড় লক্ষাধিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু লাভ তেমন হবে না।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শ্রী শচীন দেব বর্মন জানান, এবার উপজেলায় ২৯টি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে পূজার প্রস্তুতি চলছে। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পারবো বলে আসা করছি। বিগত বছরগুলোতে করোনা মহামারীর কারণে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবের আমেজের তেমন দেখা মিলেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সকলের সহযোগীতায় এবারের শারদীয় দুর্গাপূজার কাজ ভালোভাবে করতে পারবো বলে আশা করছি। এবার প্রতিটি মন্দিরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমাস আলী সরকার মোবাইল ফোনে জানান, শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। এবার পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সহ স্বেচ্ছাসেবকরা পূজা মন্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি মন্দিরকে এবার সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: