জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন ৫ শতাধিক মানুষ

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০১:৩৭ পিএম

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা (সরদার পাড়া) গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের পাঁচশত মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন। তাদের বাড়ি ঘরের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নির্মিত হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বৈদ্যুতিক তারে নেই কোন প্লাষ্টিকের আবরণ। টিনের ঘরের উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন থাকায় যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা।

ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, গত নব্বইয়ের দশকে এ বৈদ্যুতিক লাইনটি নির্মান করে পাবনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১। ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত। তখন এর বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না তারা। বাড়ি গুলোর দক্ষিণ পাশ দিয়ে সরকারি রাস্তা থাকলেও রাস্তার পাশ দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ না করে ঘর, বাড়ি, উঠানের উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক লাইনটি নির্মাণ করা হয়। জনসংখ্যা বাড়ায় পরে বৈদ্যুতিক লাইনের নিচেই ঘর করতে বাধ্য হন অনেকে। ঘর বাড়ির উপর দিয়ে তার যাওয়ায় কোন রকম গাছও লাগাতে পারেন না তারা। কেউ কেউ কিছু গাছ লাগালেও তা বড় হতে না হতেই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কেটে দেন।

ছাইকোলা সরদার পাড়ার শহিদুল ইসলামের মেয়ে সুমি খাতুন জানান, টিনের ঘরের উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার যাওয়ায় আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। ঝড় বৃষ্টির সময় আতঙ্ক বেড়ে যায়। তখন মনে হয় কখন যেন আমাদের টিনের ঘরে বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শ লাগে।

গৃহিনী রাজেদা খাতুন জানান, তার ঘরের চাল ছুয়ে সাতটি ড্রপ তার গেছে। যে কোন সময় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। তারগুলো আমার টিনের চাল ছুই ছুই অবস্থা। যেকোন সময় একটা বড় দূর্ঘটনা ঘটে গেলে তখন কে দায়ী হবে।

আতাহার সরদার জানান, আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর আগে লাইনটি নির্মিত হয়েছে। তখন এর কুফল বুঝি নাই। কিন্তু এখন কোন কূল কিনারা পাচ্ছিনা। সব সময় ভয়ে থাকি, কখন কি হয়ে যায়।

খবির উদ্দিন মাস্টার, জান্নাত হোসেন ও কলেজ শিক্ষক হাসিনুর রহমান উজ্জ্বল জানান, এ পাড়ার বাড়ি গুলোর উপর দিয়ে বৈদ্যুতিক তার যাওয়ায় মানুষ স্থাপনা তৈরী করতে পারছে না। তারে কোন আবরণ না থাকায় ঝড় বৃষ্টির সময় তার গাছের ডাল পাতার সংস্পর্শে এলে আগুন ধরে যায়। প্রতিকার পেতে জান মাল রক্ষার্থে বৈদ্যুতিক লাইনটি রাস্তার পাশে সড়িয়ে স্থাপন করতে বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার আকমল হোসেন জানান, ইতি পূর্বে নির্মিত এ বৈদ্যুতিক লাইনগুলো স্থানান্তরের জন্য কোন তহবিল নাই। গ্রাহক অসুবিধা মনে করলে বৈদ্যুতিক লাইনটি স্থানান্তরের আবেদন করলে প্রকৌশলী পাঠিয়ে তদন্ত করে কত টাকা খরচ হবে পত্র মারফত গ্রাহকদের জানানো হবে। প্রয়োজনীয় টাকা জমা দিলে টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর ঠিকাদারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক লাইনটি স্থানান্তর করা হবে। সমিতির পক্ষ থেকে ভূক্তভোগিদের যতটুকু সহায়তা করা যায় তা করা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: