রাবিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস বৃত্তি সম্পর্কিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ইরাসমাস+ কর্মসূচির আওতায় ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এই কর্মশালার আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিসিডিসি)।

আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি বলেন, ইরাসমাস+ কর্মসূচিটি ইইউভুক্ত দেশগুলিতে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য সবচেয়ে ভাল কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থায় শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ পান। এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ থেকে এবার ১৫১ জন শিক্ষার্থী ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও গবেষণা করতে যাচ্ছে। এই সংখ্যা বিশ্বে তৃতীয়।

তিনি বলেন, অতীতে বাংলাদেশকে ইউরোপের লোকজন নানা দূর্যোগ পীড়িত হিসেবে জানতো। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে এই বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাধ্যমে ইউরোপে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরো বাড়বে। এই কর্মসূচির সফলতার কারণে এর আওতা প্রতি বছরই বাড়ছে। বর্তমানে শিক্ষা, জলবায়ু পরবর্তন ও রোবোটিক্সেও এর আওতা বিস্তৃত হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছে এবং তারা বেশ সফল হচ্ছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য এই বৃত্তির সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বর্তমান বিশ্বে পারস্পরিক সহযোগিতার বিকল্প নাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতা বাড়াতে চায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেধাবী, তারা তাদের এই জ্ঞানকে ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিরিনময়ের মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনে অবদান রাখতে পারবে। এক্ষেত্রে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা চান। মিশ্রিত শিক্ষাপদ্ধতির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাথে ইইউ দেশের বিশ্ববিদ্যাগুলোর সংযোগের প্রতি তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। বিশ্ব এখন উন্মুক্ত, তাই সকলের উচিত উন্মুক্ততার সুযোগগুলোকে গ্রহণ করা। এই তথ্য সেশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইরাসমাস+ কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে এবং পারস্পারিক যোগযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার সুযোগ পাবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের (সিসিডিসি) সহকারী পরিচালক ড. মনিরা জান্নাতুল কোবরা স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিসিডিসি’র সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর মো. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রাশাসক প্রফেসর প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ বিভিন্ন অনুষদ অধিকর্তা, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টায় ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে রাবি উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তারের সাথে বৈঠক করেন। এসময় তাঁরা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: