অভিযোগ জানা নেই, তবুও আসামী অসংখ্য মানুষ

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২:১১ পিএম

মো: কবির গত ১০ বছর ধরে আদালত প্রাঙ্গণে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন। ৫৫ বছর বয়সী কবিরের বাড়ি রামু উপজেলার গর্জনিয়ায়। রামু বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগ মামলার একটিতে তিনি অভিযুক্ত। তবে তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ- সেটি সুস্পষ্টভাবে বলতে পারছেন না তিনি। পেশায় বর্গাচাষী কবির এখনো পর্যন্ত মামলার জামিন এবং হাজিরার জন্য আদালতে আসা-যাওয়া বাবদ কয়েকলাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি। বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ধার করে এই টাকার জোগান দিয়েছেন তিনি।

এই মামলায় অভিযুক্ত আরেকজন জানালেন, তার বিরুদ্ধে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে চাইলেন না। তার ধারণা মামলা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সাথে কথা বললে ঝামেলা হবে। ‘আমি ওসব বুঝিনা রাজনীতি। মন্দিরে হামলার কয়েকদিন আগে বিদেশ থেকে এসেছি। সেদিন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ছিলাম, সকালে জানতে পারি বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও অগ্নিসংযোগের কথা, অথচ সেখানে আমাকে আসামী করা হয়েছে। আমার কোন দল-ফল নেই। আমি কিছু বুঝিনা,’ বলেছিলেন সে বৃদ্ধ। রামু ট্রাজেডির একটি মামলায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত।

কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির দশ বছর পূর্ণ হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজবের জেরে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ১৯টি মামলা হয়। তবে, এখনো সাক্ষীর অভাবে গতিহীন হয়ে পড়েছে ১৮টি মামলার বিচার কাজ। তবে ১টি মামলা প্রত্যাহার করেন বাদী নিজেই। অভিযোগ রয়েছে, এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অনেক নিরাপরাধ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে হামলায় জড়িত থেকেও পার পেয়ে গেছে অনেকে। এই নিয়ে খোদ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝেও ক্ষোভ রয়েছে।

ধর্মীয় সম্প্রীতির লীলাভূমি খ্যাত রামু, উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধ পল্লীতে ঘটেছিলো নারকীয় ও বর্বর সহিংসতার! যেটি ‘রামু ট্রাজেডি’ নামে পরিচিত। উগ্র ধর্মান্ধদের দেয়া আগুনে পুড়েছিলো বৌদ্ধমন্দির ও বৌদ্ধদের বহু বাড়িঘর। এ ঘটনায় দায়ের করা ১৯ মামলার ১৮টি বিচারাধীন। কিন্তু বিচার কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতি নেই। কারণ হিসেবে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত বৌদ্ধরা এ হামলার আর বিচায় চায় না! তাই মামলার সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আসে না আদালতে।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এবং কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, ১০ পার হতে চললেও অভিযোগপত্র জমা ছাড়া একটি মামলারও অগ্রগতি নেই। শুধুমাত্র সাক্ষীদের অনীহার কারণে তা সম্ভব হয়নি। আদালতের সমন জারি, ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করেও সাক্ষ্য দিতে তাদের আদালতে আনা যাচ্ছে না! তিনি বলেন, ‘সাক্ষীরা আমাদের বলেছেন, তারা এসব মামলার বিচার চায় না। কারণ পুড়ে যাওয়া মন্দিরের স্থলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্মাণ করে দেয়া মন্দিরগুলো তাদের বেশি সন্তুষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা যা দিয়েছেন তা হারানোর চেয়ে অনেক বেশি। তাই হামলাকারীদের বিচার না হলেও তাদের কোনো দুঃখ নেই!’

ফরিদুল আলমের ভাষ্য, মামলার ভবিষ্যৎ ভালো না। সাক্ষীদের ধরে আনলেও আদালতে হামলার ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। সাক্ষীদের বেশির ভাগই বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোক। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা যদি সাক্ষ্য না দেন, তাহলে অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যেতে পারেন। হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া ১৮ মামলার সব আসামি ইতিমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

ফরিদুল আলম বলেন, ‘বৌদ্ধমন্দির ও পল্লীর হামলাটি মানবতার চরমবিরোধী। ইতিহাসে এমন বর্বর ঘটনা বিরল! সাক্ষীরা সাক্ষ্য না দিলেও রাষ্ট্রপক্ষ এতে ছাড় দেবে না। কারণ এমন বর্বর ঘটনা বিচার না হলেও মানবতার প্রতি চরম অবিচার করা হবে। একই সাথে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তাই যে কোনো মূল্যে এই ঘটনার শেষ করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিচারাধীন ১৮ মামলার (রামুর সাতটি, উখিয়ায় সাতটি, টেকনাফে দুইটি ও কক্সবাজার সদরের দুইটি) আসামি ৯৯৫ জন। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি সরওয়ার জাহান চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শাহজালাল চৌধুরী, জামায়াত নেতা ভিপি বাহাদুর প্রমুখ।

তিনটি মামলার আসামি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান তোফাইল আহমেদ। তার ভাষ্য, হামলার রাতে তিনি বিজিবি ও পুলিশের সহযোগিতায় নাইক্ষ্যংছড়ির ৪২টি মন্দির রক্ষা করেছিলেন। তারপরও তাকে রামুর তিনটি বৌদ্ধমন্দির হামলার মামলার আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কয়েক বার জেলও খেটেছেন। বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় তিনিও হতাশ বলে জানালেন।

কোনো মামলার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐক্য ও কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘হামলার এক বছরের মাথায় আমরা ধ্বংসস্তূপের ওপর নতুন বৌদ্ধবিহার পেয়েছি। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনকে নিরাপত্তাও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হামলার ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তারা আইনের আওতায় আসেনি। তারা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই নিরাপত্তার কারণে বৌদ্ধরা সাক্ষ্য দিতে সাহস পাচ্ছে না।’

মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে অনাগ্রহের বিষয়টি স্বীকার করেন রামু বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। তিনি বলেন, ‘মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক সাক্ষী নিজেদের নিরাপত্তা, লাভুক্ষতি চিন্তা করে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।’

জানা গেছে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে শত বছর ধরে রামুর বেশ সুনাম রয়েছে। ২০১২ সালের ঘটনার পর সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সম্পর্কে বিরাট ফাটল ধরেছিলো। কিন্তু ফাটল জোড়া দিয়ে আবারো সম্প্রীতির ছায়ায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে চিরাচরিত স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে রামুবাসী। তবে বিচারিক কাজে দীর্ঘসূত্রিতা দেখে অনেকটা নিরাশ জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক অধ্যক্ষ প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। তিনি মামলার রাষ্ট্রপক্ষ এবং সাক্ষীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেছেন, মূলত হামলাকারীদের অনেকে মামলার আসামি হয়নি। আবার নিরপরাধ বহুজন আসামি হয়েছে। তাই বিচার নিয়ে বৌদ্ধদের মাঝে অনিহা তৈরি হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রামু- উখিয়া ও টেকনাফের বৌদ্ধমন্দির ও বসতি পোড়ানোর এই সহিংসতার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৩৭৫ জনসহ ১৫ হাজার ১৮২ জনের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা দায়ের করা হলেও পরবর্তীতে এসব মামলায় ৯৪৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। তার মধ্যে একটি আপোষে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে, দুটি পুনঃতদন্তধীন রয়েছে। ১৬টি বিচারধীন রয়েছে। অন্যদিকে সেই বর্বর হামলার ১০ বছর পর ক্ষতি কেমন পুষিয়েছে বৌদ্ধরা, কোথায় দাঁড়িয়েছে তাদের জীবন- তা জানতে ঘুরে দেখা হয় রামুর বিভিন্ন বৌদ্ধপল্লী। সেখানে আলাপকালেও আধুনিক স্থাপত্যশৈলিতে নির্মিত সুরম্য মন্দির পেয়ে বেশ খুশি বৌদ্ধরা। তাদের মনে যে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিলো তা বহুলাংশে মুছে গেছে। তারা এখন প্রায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। তবে বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সাধারণ বৌদ্ধরা শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

ঐতিহাসিক রাংকুট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ সাধনানন্দ ভিক্ষু বলেন, ‘১০ বছরের মাথায় এসে বৌদ্ধরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। সেই বিভৎস্য ঘটনার প্রভাব কেটে গেছে। কিন্তু এত বড় বর্বর ঘটনা কখনো ভোলার নয়। তাই স্বাভাবিকভাবে রেশ রয়েই গেছে; থাকবেও আজীবন। তবে বিচার প্রাপ্তি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের মনে।’

বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি রামু উপজেলা শাখার সভাপতি সুরেশ বড়–য়া বলেন, ‘২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধ সম্প্রদায়সহ রামুবাসীর জন্য একটি ‘কালো রাত’ ছিলো। এই নৃশংস ঘটনাটি রামু সম্প্রীতির জায়গায় বড় একটা ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিলো। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকল্পনীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তা পূরণ করা হলেও আমাদের শত শত বছরের পুরনো স্থাপত্যশিল্পগুলো আর ফিরে পাবো না। যে কারণে অনেকের মনে দাগ রয়ে গেছে।’

এই প্রসঙ্গে রামু উপজেলার শিক্ষক-সাংবাদিক ও লেখক মাওলানা আবুল মঞ্জুর বলেন, ‘সেই ঘটনাটি ছিলো অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনা কখনো কাম্য নয়। সেই ঘটনার কারণে রামুর শত বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বুকে বড় আঘাত হেনে ছিলো। তবে সেটা কাটিয়ে আমরা আবারো অসাম্প্রদায়িকতার ছায়ায় অবস্থান নিয়েছি। আর কখনো যাতে এমন বর্বর ঘটনা না ঘটে এটা কামনা করি।’ সেদিন হামলায় ধ্বংস হয়েছিল প্রাচীন বৌদ্ধবিহার ‘রামু কেন্দ্রীয় মহাসীমা বিহার’। হামলার সময় বিহারের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ঘুমিয়েছিলেন ভিক্ষু শীলপ্রিয় থের। তখন পালিয়ে কোনো রকম প্রাণে বেঁচেছিলেন তিনি। শীলপ্রিয় থের বলেন, ‘সেদিন যারা হামলা চালিয়েছিল, তাদের কারও শাস্তি হয়নি। তাদের অনেকেই আসামি হননি। তাহলে আমরা কার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেব?’

হামলার শিকার রামুর উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড়চূড়ার প্রাচীন বৌদ্ধবিহার বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বৌদ্ধভিক্ষু করুণাশ্রী মহাথের বলেন, হামলার মূল হোতারা বাইরে। পুনরায় হামলায় শঙ্কা ও নিরাপত্তার কথা ভেবে সে সময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কেউ মামলার বাদী কিংবা সাক্ষী হতে রাজি হননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তম বড়ুয়া নামের এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকে পবিত্র কোরআন অবমাননার একটি ছবি ট্যাগকে কেন্দ্র করে রামুতে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ঘটনা। পরে রাতের অন্ধকারে রামুতে ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে দুস্কৃতিকারীরা। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে একইভাবে উখিয়া ও টেকনাফে ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতিহামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর পরই সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিহার ও ঘরবাড়িগুলো নতুন কারুকাজে পুননির্মাণ করে দেয় সরকার।

এদিকে উত্তম কুমার বড়ুয়ার স্ত্রী রিতা বড়ুয়া বলেন, ‘হামলার রাতে লোকজন শ্লোগান দিয়ে তাদের বাড়ির দিকে আসছিলেন। তখন তার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর তার খোঁজ নেই।’ উত্তম বড়ুয়ার নামে যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পবিত্র কোরআন অবমাননার ছবি প্রকাশ হয়েছিল, সেটি ভুয়া আইডি বলে দাবি রিতার।

কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, ‘এরই মধ্যে রামুতে সম্প্রীতির অনেকটা উত্তরণ ঘটেছে। আস্থার সংকটও কিছুটা কেটে গেছে। বৌদ্ধবিহারে প্রকৃত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা গেলে আস্থার সংকট দ্রুত কেটে যেত।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: