এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ১৫ বস্তা টাকা

প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২২, ১১:২৪ এএম

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে আবারও বস্তায় বস্তায় টাকা মিলেছে। এবার লোহার দানবাক্সটি খোলার পরে ১৫ বস্তা টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও বিভিন্ন ধরনের সোনার অলঙ্কার মিলেছে। আটটি লোহার দানবাক্সে পাওয়া গেছে এসব। এখন টাকা গণনা চলছে। বিকেলের মধ্যে জানা যাবে গত তিন মাসে কত টাকা জমা হলো মসজিদের দানবাক্সে। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

টাকা গণনার সময় উপস্থিত রয়েছেন রূপালি ব্যাংকের এজিএম ও অন্যান্য কর্মকর্তা, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

এর আগে গত ২ জুলাই তিন মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তখন পাওয়া গিয়েছিল তিন কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।

কথিত আছে, প্রায় ৫০ বছর আগে পাগলবেশী এক সাধু পুরুষ নরসুন্দা নদীর মাঝখানে পানিতে মাদুর পেতে আশ্রয় নেন। তার মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এ মসজিদটি গড়ে ওঠে। সেই থেকে পাগলা মসজিদ নামে পরিচিতি মসজিদটি। মসজিদের একজন খাদেমের কাছে টাকা দানের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ‘পাগলা মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছাপূরণ হয়— এমন বিশ্বাসে মুসলমানরাসহ অন্যান্য ধর্মের লোকজনও এখানে দান করেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ ভূমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠেছিল। সময়ের বিবর্তনে আজ এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্যও। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স এখানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: