ঢাবির হলে এসি-ফ্রিজ নিয়ে থাকেন চাকরিজীবী ছাত্রলীগ নেতা!
এস এম রিয়াদ হাসান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে তবুও তিনি থাকছেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩১৩ নম্বর কক্ষে। তবে সেখানেও রয়েছে বিলাসী জীবন। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই আরাম-আয়েশে থাকতে তার কক্ষটিতে তিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) লাগিয়ে নিয়েছেন; আছে রেফ্রিজারেটরও। যদিও আবাসিক হলে এমন বিলাসী সেবা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জানা গেছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেব কর্মরত আছেন। তিনি ত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাধে সরকারি চাকরিজীবী হয়েও পদন্নোতি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপসাহিত্য সম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসান।
জহুরুল হক হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রিয়াদ নির্বিঘ্নেই আছেন। ছাত্রলীগ সভাপতির ঘনিষ্ঠ এই নেতার আড়ম্বরভাবে হলে থাকার বিষয়টি ‘ওপেন সিক্রেট’।নাহিয়ান খানের ঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও রিয়াদ দু’জনের বাড়িই বরিশালে। সেই সূত্রে তাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।
২০১৯ সালে আল নাহিয়ান জয় কেন্দ্রীয় সভাপতি হওয়ার পর সক্রিয় হয়ে ওঠেন রিয়াদ। এরপরই সহসভাপতির পদ পেয়েছেন। করোনাকালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর হলে থাকার সুযোগ ছিল না, তখনো রিয়াদ অবৈধভাবে হলে থেকেছেন। সেসময় কঠোর বিধিনিষেধ ভেঙে ক্যাম্পাসে তার জন্মদিনও পালন করা হয়েছে।
হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম বলেন, ‘হলের কক্ষে রেফ্রিজারেটরসহ কোনো অছাত্রের থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। হলের কক্ষে রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের সুযোগ নেই। অছাত্র হয়ে কেউ হলে থেকে থাকলে বিষয়টি খুবই খারাপ। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ নিচ্ছি।’
অবৈধভাবে হলে থাকা, সরকারি চাকরিজীবী হয়েও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকার বিষয়ে জানতে গতকাল একাধিকবার রিয়াদের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। শুক্রবার কল করা হলে রিং হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিয়ান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যখন তাকে পদ দেয়া হয়, তখন তিনি সরকারি চাকরিতে যোগ দেননি। ৩১ জুলাই তাকে পদ দেয়া হয়েছে। আর সে (রিয়াদ) চাকরি পেয়েছে ১ আগস্ট। যেহেতু এখন তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাই তার পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শূন্য হয়ে গেছে।’
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: