প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিন জীবিত স্বামী, কিনে আনা কফিন বিক্রি করলেন ‘হতাশ’ স্ত্রী

প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০২২, ১১:২৬ পিএম

ভেবেছিলেন কিছুদিনের মধ্যেই মারা যাবেন স্বামী। আর এজন্যই বিদায় জানাতে বাজার থেকে কিনে এনেছিলেন পলিশ করা একটি কফিন।তবে প্রত্যাশার চেয়ে স্বামী বেশিদিন বেঁচে থাকায় তার জন্য সেই কেনা কফিনটি বিক্রির বিজ্ঞাপন অনলাইনে দিয়েছেন স্ত্রী। স্কটল্যান্ডের ওবান শহরের এয়াসডেল এলাকার বাসিন্দা মার্গারেট স্টেবলস নামের ওই নারীর এই বিজ্ঞাপন অনলাইন ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে।

টবে শুধু বিজ্ঞাপনেই সীমাবদ্ধ থাকেন নি স্ত্রী। কফিনের একটি ছবিও জুড়ে দিয়েছেন। এতে দেখা যায়, সিলভার রঙের একটি কফিনের ভেতরে সাদা রঙের বালিশ রয়েছে। ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বিজ্ঞাপন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন মার্গারেট। তিনি লিখেছেন, ‘একেবারে নতুন একটি কফিন বিক্রি করে দেব। আমার স্বামীর জন্য কিনেছিলাম। কিন্তু আমার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দিন বেঁচে আছেন তিনি। তাই এটার আর প্রয়োজন নেই। এটা আমার ঘর দখল করছে।’

পোস্টে হতাশ মার্গারেট আরও লিখেছেন, আমার কুকুর বালিশটি দখলে নেওয়ায় এটি বিক্রি করবো না। আমি এয়াসডেল এলাকায় রয়েছি। কিন্তু যেকোনও এলাকায় পৌঁছে দিতে পারবো। দ্য ডেইলি রেকর্ডের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মিরর বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মার্গারেটের এই পোস্টের নিচে অনেকেই মজার মজার কমেন্ট করেছেন। রসিকতা করে একজন লিখেছেন, এটা কী যে কারও স্বামীর জন্য উপযুক্ত হবে? অন্য একজন তার স্বামীকে ট্যাগ করে লিখেছেন, তোমার জন্য বড়দিনের আগাম উপহার বাবু?

এছাড়া তৃতীয় একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেন্টে লিখেছেন, আমি গত বছর শাশুড়ির জন্য জন্মদিনের উপহার হিসাবে একটি কিনেছিলাম। তিনি এটি ব্যবহার করেননি, যে কারণে সেটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে ফেসবুকে কফিন বিক্রির এই বিজ্ঞাপন আসলেই সত্যি কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও দ্য রেকর্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্গারেট বলেছেন, এটা সত্যিকারের বিজ্ঞাপন।

স্বামী মাতাল অবস্থায় বিরক্ত করার কারণে তিনি এই কফিনটি কিনেছিলেন বলেও জানিয়েছেন।  মার্গারেট বলেন, আমি লকডাউনের সময় এটা কিনেছিলাম। আমরা সেই সময় এক রাতে বন্ধুদের নিয়ে গার্ডেন পার্টি করেছিলাম। আমার স্বামীর মদ্যপানের ভারী অভ্যাস ছিল এবং সে আমাকে বিরক্ত করছিল। তাই আমি ভেবেছিলাম তার জন্য একটা কিনে রাখি, যাতে এটা নিয়ে বেশ হাস্যরস হয়। সূত্র: ডেইলি মিরর।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: