মানবিকতায় পুলিশ, প্রতিনিয়তই অবিভাবকদের খাওয়াচ্ছেন চা নাস্তা
পুলিশের কতই না বদনাম, পুলিশ ঘুষ খায়, খারাপ ব্যবহার করে আরো কত কি! পুলিশ এখন জনবান্ধব “পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ” জনবান্ধব পুলিশ। মানবিকতায় পুলিশের এক অন্যন্য দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করে চলছেন রাজবাড়ীর পাংশা মডেল থানা পুলিশ। সম্প্রতি সারাদেশে এস এস সি ও সমমানের পাবলিক পরিক্ষা হয়ে গেল।
পাংশা মডেল থানার ঠিক সামনে পাংশা মডেল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সেখানে এস এসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। স্কুলের মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা, তাদের অবিভাবক স্বজনরা কেন্দ্রের বাইওে অপেক্ষামান থাকেন।
পাংশা মডেল থানা চত্বরে গিয়ে দেখা গেল এক ভিন্ন চিত্র, সেখানে পরীক্ষার্থীদের অবিভাবকগন থানার গোল চত্বরে বসে ফ্যানের বাতাস উপভোগ করছেন, সেই সাথে সকলে মিলে চা নাস্তা খাচ্ছেন। কৌতুহলী হয়ে পরিচিত একজন অভিবাভকে বললাম কেমন আছেন এখানে কি করছেন? তিনি জানালেন মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে প্রতি পরীক্ষায় নিয়ে আসি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্তু এখানেই বসে সকলের সাথে গল্প করি।
কথা প্রসঙ্গে ওই অবিভাবক বললেন পুলিশ যে ভাল হয় আমার জানাছিল না, এখানে না আসলে আমার এই ভূল ধারনাটা থেকেই যেত পুলিশের প্রতি, বললাম কি হয়েছে তিনি বললেন আমরা প্রায় ৭০ থেকে ১০০ জন অবিভাবক এখানে আশপাশে পুকুর পারে সুন্দর শীতল ছায়ায় বসে থাকি, কথা বলি কখনো কেউ বলেনি আপনারা এখানে বসতে পারবেন না, উল্টা আমাদের প্রতিদিনই চা নাস্তা খাওয়ানো হয়, কে খাওয়ায় জানি না তবে বিষয়টি বেশ ভাল লাগে। এরুপ দেশের প্রতিটি থানায় হলে দেশটা সত্যিই সোনার বাংলায় পরিনিত হত।
কৌতুহল বাড়ল বিষয়টি জানার আগ্রহ জন্মালো পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশেই একটি চায়ের দোকান, দোকানের মালিক পূর্ব পরিচিত জানতে চাইলাম থানার মধ্যে আপনাকে কয়েক বার চা নিয়ে যেতে দেখলাম এতো চা কারা খাচ্ছে, তিনি সরল উত্তর দিলেন যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের বাপ-মা।
এ চায়ের বিল কে দেয় তিনি বললেন থানা থেকেই দেয়, থানা থেকে বলা হয়েছে এখানে যারা বসে বিশ্রাম নেই তাদের সকলকেই যেন চা নাস্তা দেওয়া হয়। তাই দিয়ে যাচ্ছি। এবার থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই নুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভাই এটা আমাদেও ওসি স্যার ব্যবস্থা করেছেন আমি কিছু বলতে পারব না।
পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ মাসুদুর রহমান বলেন, এর খোঁজ নেওয়ার কি দরকার এটা একটা সামন্য বিষয়। আমার মনে হয়েছে ভিতরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন অনেক সচেতন অবিভাবক আছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার কেন্দ্রের আশেপাশে অপেক্ষা করেন আমি আমার থানা চত্বরে তাদের একটু বসার ব্যবস্থা করেছি, আর তাদের একটু চা নাস্তা খাওয়াই। এটা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগনের পুলিশে পরিনিত হয়েছে, পুলিশই জনতা জনতাই পুলিশ আমরা চেষ্ঠা করছি পুলিশি সেবা সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌছে দিতে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: