মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় দুই দাঁত হারালো পিতা

প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০২:১৭ পিএম

আবু হাসান শেখ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকে: মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ছেলে পক্ষের আঘাতে দু’টি দাঁত হারালো পিতা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের শ্মশান বাজারে। সূত্রে জানা গেছে- ফরুয়াপাড়া গ্রামের হানিফুল ইসলামের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় উত্ত্যক্ত করতো একই গ্রামের এজারুলের পুত্র এজমুল (২২)।

এঘটনায় ৩ মাস আগে এলাকাবাসী বসে ওই ছেলেকে নিষেধ করেছে এবং আর উত্ত্যক্ত করবে না মর্মে অঙ্গীকারনামাও নেয় এলাকাবাসী। মাঝে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ থাকলেও গত কয়েক দিন থেকে আবারও ওই মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে ছেলেটি। এ ঘটনায় অ রবিবার রাত ৮ টার দিকে এলাকার পার্শ্ববতী শ্মশান বাজারে উত্ত্যক্তকারী ছেলেটির বাবা এজারুলকে ডেকে মেয়েটির বাবা হানিফুল মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেন। প্রতিবাদ করায় উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে ঝগড়ার কথা শুনে এজারুলের ছেলে এজমুল (২২) ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তার পিতা এজারুলসহ মেয়েটির পিতাকে বেধড়ক মারপিট করে।

এসময় এজারুলের স্ত্রী মেমেনা বেগমও এসে পিতা-পুত্রের সাথে সামিল হয়ে মেয়ের পিতা হানিফুলকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে মুখে আঘাত লাগলে হানিফুলের নিচের মাড়ির ২ টি দাঁত পড়ে যায়। আহত হানিফুলকে বাজারে উপস্থিত কিছু লোক উদ্ধার করে রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে- মেয়ের জন্য পিতার দু’টি দাঁত বিসর্জন।
কতর্ব্যরত ডাক্তার মেহেদী হাসান নোবেল আহত হানিফুলের ভর্তি নিশ্চিত করে জানান- আহত ব্যক্তির নিচের মাড়ির দু’টি দাঁত আঘাতে পড়ে গিয়েছে।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় জানান- মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষের আঘাতে দু’টি দাঁত পড়ে একজন আহত হয়েছে এবং আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শুনেছি। তবে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: