ইভিএমে আপত্তি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধরে রাখতে ভোটে অংশ জাপার

প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০১:৪৯ পিএম

শুরু থেকে নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিপক্ষে থাকা জাতীয় পার্টি ইভিএমে আপত্তি থাকা স্বত্তেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধরে রাখতেই গাইবান্ধা -৫ আসনের উপ - নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে জাতীয় পার্টি । তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে পরিস্থিতে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০ জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বের একটি টিম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এর সাথে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দেখা করতে আসেন। সিইসির সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন,'যদিও আমরা ইভিএমের নির্বাচনের পক্ষে না। গাইবান্ধা -৫ উপ- নির্বাচনটা ইভিএমে হবে। কিন্তু আমাদের (জাতীয় পার্টির কালচার আছে আমরা নির্বাচন বর্জন করি না। নির্বাচন বর্জন করাকে আমরা মনে করি গণতন্ত্রকে ব্যাহত করবে। তাই আমরা প্রতিবাদ হিসেবে সংসদীয় আসনের উপ - নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি৷ সেই নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এসেছিলাম।'

ইভিএমের ভোটে সিসিটিভি থাকবে কি না সে বিষয়ে জানতে চেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন,' ইভিএমে নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করছি দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে। যদিও আমরা নীতিগতভাবে ইভিএমের নির্বাচনের বিরুদ্ধে। তারপরও আমরা বলছি এই নির্বাচনটা যদি ফেয়ার করতে পারেন৷ মানুষের কিছুটা আস্থা আসতে পারে। নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করতে কি কি পদক্ষেপ নিবেন সেই বিষয়ে আমরা তাদের বলেছি। তারাও আমাদের বলেছে। '

সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গত ২৪ জুলাই গাইবান্ধা ৫ সংসদীয় আসন শূন্য হয়৷ আগামী ১২ অক্টোবর এ আসনে উপ - নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা পরিষদ ভোটের প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় পার্টি চুন্নু বলেন,' গাইবান্ধা জেলা পরিষদে অনেক এমপিরা তাদের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করে প্রচারণা করছেন। নির্বাচন-কাজে বাধা দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের লোকেরা আমাদের প্রার্থীদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে।' এগুলো নিরসন করার জন্য এবং জেলা পরিষদ ভোটে সকল কেন্দ্রে সিসিটিভির ব্যবস্থা করার কথা বলেছি বলে যোগ করেন তিনি।

চুন্নু আরও বলেন,'প্রার্থীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে তারা বলছে জোড় করে ভোট নিয়ে নিবেন। যারা জাতীয় এজেন্ট হবে তাদের এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না।'

সিইসির কাছে জাতি আশা করে জানিয়ে তিনি বলেন,' তারা বলেছেন ভয় ভীতির উর্ধ্বে থেকে, সৎ থেকে ভালো নির্বাচন দেয়ার মতন মানসিকতা আছে। ইচ্ছা আছে। সেই ইচ্ছার প্রতিফলনটা জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং গাইবান্ধা ভোটে দেখতে চাই।'

দেশের ৬১ জেলায় ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সংরক্ষিত পদে ১৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং তিন পদে সব মিলিয়ে ১১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সরাসরি নজরদারি দেখছি না এই কারণে যে আমাদের প্রার্থীকে অপমান করেছে। প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করেছে। থানায় গেছে মামলা নেয় নাই। সেখানে জিডি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে সরাসরি হস্তক্ষেপ আমরা দেখছি না।জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সাংগঠনিক কার্যক্রম করবে এটার ইনটেনশন হলো নির্বাচনে ভোট চাওয়ার জন্য।

চুন্নু বলেন, 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আমাদের বলেছেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যে কমিশন সভায় তারা সিদ্ধান্ত নিবে। তারা আমাদের বলেছে, তারা আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে খুবই অনড় ও শক্ত অবস্থানে আছে। সিইসি বলেছেন, এখন পর্যন্ত সংসদের উপনির্বাচনে সিসি টিভি ব্যবহার করার কথা রয়েছে তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিসি টিভি ব্যবহারের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী কমিশন সভায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিসি টিভির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।'

সিইসিকে ভালো মানুষ উল্লেখ করে চুন্নু বলেন, তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এবং আমরা নিশ্চয় কয়েকদিনের মধ্যে উনারা কি করেন সেটা দেখবো।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: