কলেজ মাঠে সবজি চাষ

প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০৪:২৬ পিএম

আব্দুল বাশির, চাঁপাইনবাগঞ্জ থেকে: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে উপজেলায় চৌডালা জোহুর আহমেদ মিঞা কলেজ মাঠে বেগুন ও মাসকলাই চাষ হচ্ছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে চৌডালা জোহুর আহমেদ মিঞা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, গত তিন মাস হতে কলেজ মাঠে ২৫ শতক জমিতে ২০ হাজার টাকায় বর্গা দিয়ে সবজি চাষ হচ্ছে। আর কয়েকবিঘা জমিতে ৫ হাজার টাকা টাকায় বর্গা দিয়ে চাষ করানো হচ্ছে মাসকলাই। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এতে খেলাখুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন থেকে সেখানে খেলা না হওয়ায় ক্রীড়া প্রেমিকরাও এমন কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এবছর কলেজ মাঠে প্রথমে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করা হয়েছে। তারপর বেগুন ও মাসলকাই লাগানো হয়েছে। কলেজ মাঠ যেখানে খেলাধুলার স্থান হিসাবে থাকার কথা। কিস্তু সেখানে সবজি চাষ হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।

সবজি বাগান মালিক আব্দুল হাকিম আলী বলেন, বছর প্রতি ২০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আষাঢ় মাস থেকে কলেজ মাঠে বেগুন চাষ করছি। গত কয়েকমাস থেকে মাসকালাইও চাষ হচ্ছে। কলেজ মাঠে সবজি চাষ করাটা ঠিক হচ্ছে কি?এমন প্রশ্নে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। কলেজ মাঠে সবজি চাষ করা যাবে না। সেটাতো আমার জানাও নেয়। জানা থাকলে আমি চাষ করতাম না।

তিনি আরও জানান, বেগুন যেখানে চাষ করা হয়েছে সেখানে পুকুর ছিলো না। আর মাসকলাই যেখানে আছে সেখানে পুকুর ছিলো। সবজি চাষ করার আগে কলেজ মাঠে বালু উত্তোলন করা হয়েছিলো। অতিরিক্ত বালুগুলো বাইরে বিক্রিও করা হয়েছিলো। আর সেখানে আগে খেলাধুলা করা হয়েছিলো কি না,এমন প্রশ্নের জবাবে? তিনি বলেন,কলেজ মাঠের কিছু অংশ ছিলো। সেখানে খেলাধুলা করা হচ্ছিলো।সবজি চাষের পর আর সেখানে খেলাধুলা করা হয়না।

স্থানীয় এক কলেজ ছাত্র আব্দুর রহিম জানান,এই কলেজ মাঠে আমরা দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা করে আসছি। বিভিন্ন টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হয়। কিন্তু কয়েকমাস থেকে কলেজ মাঠটিতে সবজি চাষ করার জন্য আর খেলাধুলা করা যায় না।

অত্র কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জানান, কলেজ মাঠে সবজি চাষ করা যাবে না। এটা কোথায় বলা আছে? আর আমি সবজি চাষ করতে দিয়েছে। সেটা আমার ম্যানেজিং কমিটির সবাই জানে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) ফেরদৌসি বেগম মোবাইল ফোনে জানান, এ বিষয়ে মোবাইলে কথা বলতে চাইনা। অফিসে আসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, যেখানে বেগুন লাগানো আছে। ওই জমিটা আগে পুকুর ছিল। খেলার মাঠ না। তাই মাটি ভরাট করে মূলত খেলার মাঠে পরিনত করার জন্যই বেগুন লাগানো হয়েছে। তার পরও আপনি সংশ্লিট দপ্তরে খোঁজ নেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: