পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত সাগরকন্যা কুয়াকাটা

প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৩৫ পিএম

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ঈদে মিলাদুন্নবী, সনাতন ধর্মালম্বীদের দুর্গোৎসব এবং সাপ্তাহিক ছুটি সহ মোট ৫ দিনের টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত এখন কুয়াকাটা। স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, বুধবার বিকাল থেকে টানা ছুটি উপভোগ করতে কুয়াকাটা সৈকতে এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটকদের এমন ভীড়ে বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ রিসোর্ট ও হোটেল রুম। এছাড়া বিভিন্ন পর্যটন স্পটে বেড়েছে পর্যটকদের বাড়তি আনাগোনা।

পর্যটকরা জানান, আগত পর্যটকরা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকে আবার উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানীর অপার ছোয়া আর লাল কাকড়ার অবাধ বিচরন দেখতে এসব পর্যটকদের এখন ক্লান্তিহীন ছুটে চলা। তারা জানান, রাখাইন মার্কেট, ঝিঁনুক মার্কেট, শুটকী মার্কেটসহ বাহারী পন্যের দোকানেও রয়েছে পর্যটকদের সরব উপস্থিতি।

ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মিজানুর রহমান(৪৫) জানান, পর্যটন নগরীর সবচেয়ে বড় বাধা ছিলো সড়ক পথে যোগাযোগ না থাকা। তবে পদ্মা সেতু চালুর পর কেটে গেছে সব বাধা। যোগাযোগ সুবিধার কারণে ভির বেড়েছে পর্যটকদের। ছোট বড় মিলিয়ে দেড়'শ হোটেল রিসোর্ট থাকলেও সরকারি ছুটি কিংবা বিশেষ দিন গুলোতে রুম সংকটে পড়েন পর্যটকরা। আশ পাশের বাড়ি গুলোকে কমিউনিটি ট্যুরিজমের আওতায় এনে রুম ভাড়া দেয়া হলেও তাতেও যায়গা হচ্ছেনা। তাই অনেকে রাত্রি যাপন করে সৈকতে থাকা বেঞ্চ ও মসজিদ-মন্দিরের বারান্দায়।

স্থানীয় গাইড মো. বাচ্চু (২৮) জানান, যেখানে বর্ষা মৌসুমে হোটেল- রিসোর্ট খালি পরে থাকতো, সেখানে এখন পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় পর্যটকদের উপস্থিতি কাজে লাগাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে হোটেল রিসোর্ট নির্মান সহ বিনিয়োগের দরকার বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশের ওসি হাসনাইন পারভেজ জানান,পর্যটকদের নিরাপত্তায় সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। আনন্দ উপভোগ করে পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারে সে বিষয়ে ট্যুরিষ্ট পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: