শৈশব ফেরাতে মোবাইল-টিভির ওপর নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ০৬:২২ পিএম

বর্তমান সময়ে  শিশু-কিশোর থেকে প্রায় সববয়সী লোকজন টিভি ও স্মার্ট ফোনে আসক্ত। তবে সবচেয়ে বেশির হুমকির মুখে রয়েছে শিশুরা। সচারাচর ছোট বড় সবার চোখ আটকে থাকে টিভি বা ফোনের স্ক্রিনে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই উল্টো পথে হাঁটল কর্ণাটকের একটি গ্রাম। দিনে ২ ঘণ্টা মোবাইল ও টিভি দেখার ওপর জারি করে নিষেধাজ্ঞা।

একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায়, এই গ্রামে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে মোবাইল ফোন এবং টেলিভিশন। কর্ণাটকের মহারাষ্ট্র সীমানা লাগোয়া ছোট গ্রাম আথানির সাংলির ভাদগাঁওয়ে এমন নিয়ম চালু করা হয়েছে। মূলত পরস্পরের সঙ্গে সামাজিক বন্ধন দৃঢ়করণ ও শৈশব ফেরাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। তাদের মতে, মোবাইল ফোন এবং টিভির অতিরিক্ত আসক্তির ফলে ক্রমেই পরস্পরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ। কমছে সামাজিক যোগাযোগ, পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা। একারণে মানুষের বিপদে মানুষের এগিয়ে আসা, খোঁজ খবর নেওয়ার মতো ঘটনাগুলো দিন দিন কমে যাচ্ছে। শিশুদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়েছে। অনেক শিশু খেলা বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের সুস্থ জীবন ধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে।

এই বিষয়ে ভাদগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি বিজয় মোহিত জানান, কোভিডের সময় লেখাপড়ার কাজে শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা মোবাইল ফোন কিনে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থীই তাদের অভিভাবকদের অজান্তেই স্মার্টফোনের অপব্যবহার শুরু করেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে টিভি আসক্তিও। এর পরেই মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এবং টিভি আসক্তি রুখতে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে টিভি দুই ঘণ্টা বন্ধের প্রস্তাব পাস হয়। গ্রামটিতে মোবাইল ও টিভি বন্ধ রাখার জন্য সাইরেন বাজানো হয়। এর পরেই টিভি-ফোন বন্ধ করে গ্রামের পথে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। এ সময়টা পরস্পরের সঙ্গে আড্ডা, কুশল-বিনিময় করেই কাটান তারা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: