মৃত্যুশূন্য দিনে করোনায় আরও ২৯৯ জন আক্রান্ত

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯০ জনে। তবে এ সময় নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৮১টি করোনা পরীক্ষাগারে মোট দুই হাজার ১৮৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে আগের কিছুসহ পরীক্ষা করা হয় মোট দুই হাজার ১৯৯টি নমুনা। পরীক্ষায় আরও ২৯৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২৯ হাজার ৩১৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শতকরা ১৩ দশমিক ৬০ ভাগ। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬১ ভাগ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ০৪ ভাগ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ ভাগ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৯০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৪৪ জনে।

এদিকে একই দিনে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৬৬ জনের। ফলে এ রোগে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৫ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬০ জনের। একই সময়ে ভাইরাসটিতে শনাক্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১১৪ জন। এতে করে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬২ কোটি ৬০ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন।

২৪ ঘণ্টায় কোভিডজনিত অসুস্থতায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে এই দিন কোভিডজনিত অসুস্থতায় ভুগে মারা গেছেন ২২৯ জন; সেই সঙ্গে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৫২৪ জন।

অন্যদিকে দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে শীর্ষে ছিল জার্মানি। এ দিন করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ২৬৫ জন এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হয়েছে ১২৯ জনের।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে। তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।